জাতীয়

ভারতের কাছে হাসিনার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জবাব চাইবে সরকার : নাহিদ

আজ বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ভারতের কাছে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি চাইবে সরকার। ভারতে থেকে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচার, রাজনৈতিক মিটিং করার দায় ভারত সরকারকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে আয়োজিত একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্টকে বলছি, এর আগেও বলেছি, তারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে।

এটায় তাদের একটা ব্যাখ্যা আছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে, কূটনৈতিক জায়গা থেকে, আইনি জায়গা থেকে তাকে ফেরত চাইব। কিন্তু শেখ হাসিনা সেখানে থেকে যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করেন এর দায় ভারত সরকারকে নিতে হবে। ভারতে থেকে যদি বক্তব্য প্রচার করেন, রাজনৈতিক মিটিং করেন, এটার দায় অবশ্যই ভারত সরকারকে নিতে হবে। ভারত সরকারের কাছে আমরা এর জবাবদিহি চাইব।’

আজ বুধবার বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বইটির লেখক ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেসসচিব আহম্মদ ফয়েজ, বইটির প্রকাশক ও আদর্শের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব রাহমান।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এখন তথ্যযুদ্ধ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠে আছি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে।

রাজপথ তাদের দখলেই থাকবে। আমাদের প্রতিরোধ আমরা অব্যাহত রাখছি। যেকোনো সময়ের জন্যই আমরা প্রস্তুত।’প্রধান অতিথি নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ওই সময়টায় সংবাদপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াটা একেবারেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

গুম থেকে ফিরে আসার পর জানতাম না, এর ভেতর কী ঘটেছিল। কয়েকটা পত্রিকা কিনে নিয়ে এসে ঘটনাগুলো জানতে পারি। ওই সময় অনেক পত্রিকার ইতিবাচক ভূমিকা ছিল‌। আবার নেতিবাচক ভূমিকাও ছিল। কোনো কোনো পত্রিকা আন্দোলনকে সংঘর্ষ হিসেবে দেখিয়েছে। সেই সময়ের অনেক রিপোর্ট এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’

নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, ‘আন্দোলনের সময় পত্রিকাগুলো যে ব্যবহৃত হয়েছে বা সেলফ সেন্সরশিপের মুখোমুখি হয়েছে, সেটা এখন তাদের প্রকাশ করা উচিত। নয়তো তারা আস্থা অর্জন করতে পারবে না। এখন যে মিডিয়ার ওপর মানুষের অনাস্থা ও ক্ষোভ তা দূর হবে না। তিনি বলেন, ‘এখনো মিডিয়াকে বিভিন্ন করপোরেট হাউস অলিগার্করা ব্যবহার করছে।

সরকারের সঙ্গে অলিগার্করা অনেকভাবে এনগেজ হতে চেয়েছে। আমরা তাদের সুযোগ দিইনি। মিডিয়ার ওপর তাদের অনেক বড় প্রভাব। মিডিয়াগুলোকে এখন তারা ব্যবহার করছে। আমাদের ক্যারেক্টার বিশ্লেষণ করছে, সরকারের বিরুদ্ধে নানা অযৌক্তিক সমালোচনা তারা করছে।’

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker