পনেরোই আগস্টের ঘটনা, যা ছিল এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তা শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে কেবল আমাদেরই যুদ্ধ ছিল না, বরং এর পেছনে আরও একটি বড় উদ্দেশ্য কাজ করছিল। মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল কেবল স্বাধীনতা অর্জন নয়, বরং একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার সৃষ্টি।
মুক্তিযুদ্ধের পর, যখন নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমেদ সাত দফার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, তখন এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু এক দেশ হিসেবে নয়, বরং একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় এবং পরবর্তীতে এটি ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর কিছু বিষয় পরিষ্কার হয়ে ওঠে, বিশেষত যুদ্ধের পর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানানো হয়। ভারতের সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ের পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধের সেনারা কোনও কৃতিত্ব বা পুরস্কৃত হওয়ার সুযোগ পাননি। মুক্তিযুদ্ধের পর, অনেক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন নিরীহ ভাবে, যেখানে তাদের কোন ভূমিকা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পাকিস্তানি বাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনীর সম্পর্ক কিছুটা জটিল হয়ে দাঁড়ায়।
পাকিস্তানি বাহিনীকে ভারতীয় সেনাবাহিনী পরাজিত করে, তবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত রূপ এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য এর প্রকৃত সাফল্য তখনো সুস্পষ্ট হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর, বিশেষত ১৬ ডিসেম্বরের পর, বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আরো অবগত হয়।
মুজিবুর রহমান যখন মুক্তি পান, তখন তিনি একেবারে অজানা ছিলেন যে মুক্তিযুদ্ধে কি কি ঘটেছিল, এবং কতজন মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছিলেন। তার মুক্তি পর, তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে যোগাযোগ করেন এবং জানানো হয় যে তাকে পাকিস্তান থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পরে, বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতি এবং স্বাধীনতার অগ্রগতি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়, যেখানে ভারতীয় নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসে।