ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ফয়জুদ্দীনের আচরণে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন আখাউড়া উপজেলাস্থ ধরখার গ্রামের মুহা. ফয়জুদ্দীনের আচরণে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। বিগত কয়েক বছর যাবৎ তার বাড়ির পার্শস্থ স্থানীয়  অসহায় (এক মসজিদের ইমাম) রফিকুল ইসলাম রঙ্গু মিয়ার সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ভোগান্তিতে ফেলে রেখেছে।

এনিয়ে সম্মিলিত গ্রামবাসী মিটিংয়ে বসে তাকে বারবার খবর দিয়েও আনতে পারেনি। উল্টো তাদেরকে আওয়ামিলীগের ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে তার লিখিত ৮ জনের নাম উল্লেখিত একটা লিস্ট আমাদের হাতে এসেছে। 

সরেজমিনে সাক্ষাৎকার নিতে গেলে অসহায় ইমাম (রফিক) বলেন, জায়গা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে ফয়জুদ্দীন মিয়া এ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ৩টা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করেছে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ বিজ্ঞ জজ সাহেব সঠিক তদন্ত করে আমাকে ২টা থেকে খালাস দিয়েছেন।

আমার বিরুদ্ধে তার করা শেষ মামলাটিও (৩৩৫ অব্লি ২০) জজ সাহেব খারিজ করে দিলে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডা: ফাইজুর রহমান (ফয়েজ) কর্তৃক ভুয়া এমসি’র মাধ্যমে পুনরায় উক্ত মামলাটির আপিল করেছে। এখনও সে বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। 

(তাদের কথায়) ভুয়া সার্টিফিকেট এর ব্যাপারে ডাক্তার ফাইজুর রহমান (ফয়েজ) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এটাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলেন। তবে বিবাদী পক্ষ বলছে তিনি নিজে কোর্টে এমসি নিয়ে এসেছিলেন। এবং জজ সাহেবের সামনে বাদীর পক্ষে কথা বলেছিলেন। এর স্বপক্ষে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। 

এব্যাপারে অসহায় ইমামের উকিল আরিফুল ইসলাম বলেন, এই মামলায় সাক্ষ্য ও মামলার লেখার সাথে কোনো মিল ছিলোনা তাই এটাকে মহামান্য আদালত খারিজ করে দিয়েছিলো কিন্তু বাদী ফয়জুদ্দীন মিয়া এটাকে পুনরায় উচ্চ আদালতে খারিজ করেছেন। ৯তারিখ মামলার পুনরায় শোনানি হলে সামনে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। 

ফয়জুদ্দীনের নির্যাতনের স্বীকার পুতুল নামের এক মহিলা আমাদেরকে বলেন, ফয়জুদ্দীনের বাড়ির সাথেই আমার বাড়ি। সে জায়গা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে আমার উপর জুলুম করছে। এমনকি সে কয়েকবার আমার ও আমার ছেলের গায়ে হাতও তুলেছে। 

আরেক ভোগান্তির স্বীকার জজ মিয়া বলেন, ফয়জুদ্দীনের করা মামলাটা মিথ্যা। আমরা সম্মিলিত গ্রামবাসী তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। সে আওয়ামিলীগের ট্যাগ দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছে টাকা খোঁজেছে।

ফয়জুদ্দীনের প্রধান শক্তি হলো, তার বড় ভাই একজন অব:সর প্রাপ্ত সচিব এবং তার একটা মেয়ে পুলিশ। এই জোরে সে গ্রামে প্রভাব খাটিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। 

তিনি আরও বলেন, ফয়জুদ্দীন আমীনতি (জায়গার মাপজোপ) করে। এব্যাপারে সে সবলদের থেকে টাকা নিয়ে দূর্বলের বিপক্ষে সবসময় থাকে। এনিয়ে সে কয়েক জায়গায় এ্যাটাকের স্বীকারও হয়েছে, যা সকলেরই জানা। 

ফয়জুদ্দীন কর্তৃক আদালতে লাঞ্চিত হওয়া ওয়াহিদ মিয়া বলেন, আমি অসহায় ইমাম রফিকের জন্য আদালতে গিয়েছিলাম সাক্ষী দিতে কিন্তু ফয়জুদ্দীন সেখানেই আমাকে লাঞ্চিত করেছে।

এহেন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কাছে ভোগান্তি ব্যক্তিবর্গ সহ গ্রামবাসী সকলের দাবি একটাই, উক্ত জায়গার সুষ্ঠু সমাধান করে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker