জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের চকবেলতৈল গ্রামবাসী ও ইয়াং স্টার কর্তৃক তিন দফা দাবী, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার(০৫ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় চকবেলতৈল বাজারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গত শনিবার (০২ নভেম্বর) সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ সাফওয়ান সদ্য ও শহীদ আবু সাইদ ফুটবল টূর্ণামেন্টের ১ম সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেই ম্যাচে জামালপুর ফুটবল একাদশ ও ইয়াং স্টার ক্লাব মধ্যকার সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত খেলার প্রথমার্ধের শুরুতেই জামালপুর ফুটবল একাদশ বিপক্ষ দলকে গোল ০১ টি করে। গোল দেওয়ার পূর্বে জামালপুর একাদশের খেলোয়াড় অপর পক্ষের খেলোয়াড়কে পাশ কাটিয়ে বল ছাড়াই গোল লাইনের বেশি কাছাকাছি দৌড়ে যায় এবং বল গ্রহণ করে গোল দেওয়ার উদ্দশ্যে ছুটে যায়।
ফিফার আইনানুযারী,আইনে বলা হয়েছে যে কোনও খেলোয়াড় অফসাইড অবস্থায় রয়েছে বলা হয়, যদি হাত ও বাহু বাদ দিয়ে, তার শরীরের কোনও অংশ, প্রতিপক্ষের অর্ধেক পিচের মধ্যে থাকে, এবং বল ও শেষ দুজন-প্রতিপক্ষ,- উভয়ের থেকেই সে প্রতিপক্ষের গোল লাইনের বেশি কাছাকাছি থাকে (শেষ প্রতিপক্ষ সাধারণত গোলরক্ষক হয়, তবে অপরিহার্যভাবে নয়)।
অতএব গোলটি যে খেলোয়াড় করতে সফল হয়েছে সে খেলোয়াড়টি অফ সাইড ছিল যা খেলা দেখতে আসা হাজারও দর্শকের চোখে পড়েছে এবং বিভিন্ন মোবাইল ফোনের ফুটেজে ধরা পড়েছে। সেখানে দায়িত্বরত সেমিফাইনালের ম্যাচ রেফারি হাসান মাহমুদ নূর ও সহকারী রেফারী শফিকুল ইসলাম মানিকের চোখে পড়েনি। যা অফ সাইড গোলকে কেন্দ্র করে ইয়াং স্টার ক্লাব এবং দর্শক সমর্থকরা টূর্ণামেন্ট কমিটিকে অভিযোগ করলে সেটি আমলে না নিয়ে উলটো কমিটি কর্তৃক খেলোয়ারদের প্রতি অসহযোগিতাপূর্ণ আচরণ ও সমর্থকবৃন্দের উপর হামলা করা হয়।
এলাকাবাসীর পক্ষে চকবেলতৈল সরকারি প্রা.বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান স্বপন অভিযোগ করে বলেন, কমিটি ও রেফারীর অসহযোগিতা পূর্ণ মনোভাব ও দূর্নীতে জামালপুর একাদশকে সেমিফাইনালে জয়ী করে ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ায় টূর্ণামেন্ট কমিটির সার্থকতা এবং পকেট ভারী করা। আমরা টূর্ণামেন্টের শুরু থেকে প্রত্যেকটা ম্যাচেই জয়ী হয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত এসেছি।
উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার দর্শক আমাদের খেলায় হার দেখে হতাশ এবং হতভম্ব। আমরা খেলোয়াড় ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তিনদফা দাবী- সেমিফাইনাল খেলাটি পুনরায় আয়োজন, আয়োজক কমিটি ও ম্যাচ রেফারীদের জনসম্মুখে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জন সম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
এছাড়া অবিলম্বে সেমিফাইনাল খেলায় দায়িত্বরত ম্যাচ রেফারীর পুরো জামালপুর জেলায় বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছি।এসব রেফারীর কাছ থেকে উদীয়মান খেলোয়াড়রা কিছু শিখতে পারবে না। এরা তরুণ খেলোয়াড়দের ধ্বংস করে দিবে। মানবন্ধন কর্মসূচীতে আরো বক্তব্য দেন ইউ পি সদস্য আশরাফ হোসেন আশু সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার উল্লেখিত সেমিফাইনালে চকবেলতৈল ইয়াং স্টার ক্লাবকে ২-১ ব্যবধানে হারায় জামালপুর একাদশ।