টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থাপত্র দিয়েছেন নারী প্যানেল চেয়ারম্যানসহ নয় ইউপি সদস্য। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলীর কাছে নির্বাচিত ৯ ইউপি সদস্য ওই অনাস্থাপত্র দেন। লিখিত অনাস্থাপত্রে চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষরকারীরা হচ্ছেন- নারী প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অমলা পোদ্দার, সংরক্ষিত ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুফিয়া বেগম, সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিলকিছ বেগম, ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: শওকত আলী, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: আব্দুল আওয়াল, ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: লিটন মিয়া, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: সোহরাব হোসেন এবং ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: আবু সাইদ। আবেদনকারীরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে ওই অনাস্থাপত্র জমা দেন।
অনাস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয়- ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক একাউন্টে জমা না করে ট্যাক্স ও ট্রেডলাইসেন্স বিক্রির টাকা আত্মসাত, ইউপি সদস্যদের সম্মনীভাতা নিয়মিত না দেওয়া, বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব গোপন রাখা, ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে বরাদ্দকৃত উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ১%, টিআর, কাবিখাসহ সকল খাতের অর্থ পরিষদের সাধারণ সভায় প্রকল্প গ্রহণ না করে নিজের বাহামভুক্ত ইউপি সদস্যের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়নের নামে অর্থ আত্মসাত, ওয়ার্ড ভিত্তিক সুষম বন্টন না করে স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিষ্ঠা করা, ওয়ার্ডের জনসংখ্যার ভিত্তিতে বরাদ্দের নিয়ম না মেনে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বিধাব ভাতার বড় অংশ নিজে রেখে ইচ্ছামত বণ্টন করছেন।
এ বিষয়ে দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আফজাল হোসেন অনাস্থাপত্রে লেখা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান-বিন-মুহাম্মাদ আলী জানান, দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়া নয় ইউপি সদস্যের লিখিত অনাস্থাপত্র পেয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দ্রুত অনাস্থাপত্রটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।