আগামী বছরের মধ্যে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হতে পারে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৬০ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। এই মহাসড়ক চালু হওয়ার পর ঢাকায় প্রবেশ না করেই জয়দেবপুর থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) গাজীপুরের মীরের বাজার এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) সিইও জিয়াও ঝিমিং।
তিনি বলেন, ‘এ এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশের মহাসড়কে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। এটি নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে। পাশাপাশি এ সড়ক ঢাকার ট্রাফিক নেটওয়ার্কের উন্নতি, যানজট নিরসন এবং প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পরে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।’
ওই সময় প্রকল্পের কে-১২ রেলওয়ে ওভারপাস (মিরের বাজার ফ্লাইওভার) ও ফুটপাথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
পরে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) ও চায়না এবং বাংলাদেশী মিডিয়ার আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে এ এক্সপেসওয়ে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ (গ্রুপ) কর্পোরেশন লিমিটেড (এসআরবিজি), শামীম এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (এসইএল) এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ইউডিসি) কনসোর্টিয়াম নামের তিন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এই প্রকল্পের আর্থিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি প্রকল্পটিতে আগের দুইলেন রাস্তা নতুন করে চারলেন করা হচ্ছে। এছাড়া পাশে দুটি সার্ভিস লেন থাকবে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য।
প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে মধ্যে রাস্তাটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন সহজেই দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে চলাচল করতে পারবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.