ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো: সাইয়েদ বিন আবদুল্লাহ’র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছাগলকাণ্ড নিয়ে আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাত যে মো: মতিউর রহমানের ছেলে তা তথ্য-উপাত্তসহ ফেসবুকে তুলে ধরায় সাইয়েদ আবদুল্লাহ’র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
দ্য মিরর এশিয়াকে সাইয়েদ বলেছেন, ‘গত শনিবার সকাল ৭ থেকে ৯টার মধ্যে আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয় বলে ধারণা করছি। কারণ তখন থেকেই আমি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছিলাম না। বারবার দেখাচ্ছিল আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ১৮০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। ধারণা করছি ছাগলকাণ্ড নিয়ে আলোচিত ইফাত যে মতিউরের ছেলে তা প্রমাণে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরার কারণে ক্ষুব্ধ মতিউর এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা সম্ভবত রিপোর্ট করে সাসপেন্ড করিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইফাতের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর মতিউর দাবি করেন ইফাত তার ছেলে নয়। এছাড়া গত বুধবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে মতিউর ইন্টারভিউ দেন। সেখানেও বিষয়টি দাবি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী, ইফাত ও তার বোনের ছবি এবং মতিউর ও ইফাতের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি ইফাত মতিউরের ছেলে। ছবি দুইটিতে যে বাসার ছবি তা যে একই বাসার তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ইফাত ও তার বোনের জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডিতে যে বাবার নাম একই তা তুলে ধরার ঘোষণা দিই। এ অবস্থায় আরও তথ্য-উপাত্ত যাতে তুলে ধরতে না পারি সে জন্য মতিউর ও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে বলে ধারণা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।’
আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এর আগে রাফসান দ্য ছোট ভাই-কে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আমি তুলে ধরেছিলাম।’
এদিকে আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো: মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।
এছাড়া সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে জানান, ‘মতিউর ব্যাংকের আর কোনো সভায় উপস্থিত থাকবেন না। আজ বৈঠকেও অংশ নেননি।’
তিনি জানান, কোনো পরিচালক নিয়োগ, স্থগিত বা বাতিল করার এখতিয়ার সরকারের। সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা এসেছে, উনি (মতিউর রহমান) আর আমাদের বোর্ডে উপস্থিত হবেন না, সভায় আসবেন না। আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত ব্যাংকের সব পরিচালককে জানিয়ে দিয়েছি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.