ছোটকাল থেকে পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা সালমা খাতুনের। সেই ভালোবাসা থেকে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে শখের বসে পুষতে শুরু করেন গরু। এরপর একে একে ৩০টি গরু নিয়ে শুরু হয় তাঁর খামারের যাত্রা। এখন একজন সফল খামারি সালমা খাতুন। দুটি খামারের মালিক তিনি।
পড়াশোনা শেষে সবাই যখন হন্য হয়ে চাকরি খোঁজেন সেখানে উদ্যোক্তার পথে পা বাড়ান সালমা খাতুন। তার বাড়ি ‘আমের জেলা’ চাপাইনবাবগঞ্জে। রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগরের বিবিরহাট বাজারে এবারের কোরবানির হাটে তাঁর খামারের ১৪টি গরু বিক্রির জন্য এনেছেন সালমা। হাজারো পুরুষ-বিক্রেতার ভিড়ে একমাত্র নারী বিক্রেতা তিনি।
কোরবানির হাটে নারী বিক্রেতা হিসেবে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন কীনা জানতে চাইলে সালমা বলেন, ‘হালকা সমস্যা হতেই পারে। এগুলো গায়ে মাখতে নেই। সব বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে এগিয়ে যেতেই হবে লক্ষপানে। তবেই নারীশক্তির বিজয়।’
খামার শুরুর গল্প জানতে চাইলে সালমা খাতুন বলেন, ‘আমার ছোটকাল থেকে পশুপাখির প্রতি ঝোঁকটা বেশি। পড়াশোনা শেষ করে শখ করে একটি গরু কিনি। এরপর ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে দুটি খামার করি। ৩০টি গাভী লালন পালন শুরু করি।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কাজকে ছোট মনে করা উচিত না। যত বড় বড় ব্যবসায়ী ওনারা ছোট থেকে বড় হয়েছেন। ছোট থেকেই মানুষ বড় হয়।’
‘টুকটাক বাধা বিপত্তি থাকবে, তবে নারীরা চাইলেই খামারি হতে পারে। এটা তেমন কঠিন নয়। সব কাজই তো কষ্টের, সফলতা পেলে সব কষ্ট মুছে যায়।’— বলেন তিনি।
সালমা খাতুন বলেন, ‘২০২৩ সালের দিকে আমার একটু লোকসান হয়েছে। এখন ১৪টা গরু আছে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.