আজ ১১ জুন সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভাস্থ খৈয়াসার নামক এলাকায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে লিচু, জুস, ড্রিংকো জুস, চানাচুর, মটর বিহীন ডাল, চিপস ও বড় ড্রিংকসহ বিভিন্ন প্রকার শিশু খাদ্য তৈরি করার দায়ে মের্সাস সাইফুল ফুড প্রোডাক্ট নামের এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জেলার পৌরসভাস্থ খৈয়াসার নামক এলাকায় দুটি কারখানায় বিএসটিআই এর সীল নকল করে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে লিচু জুস, ড্রিংকো জুস, চানাচুর, মটর বিহীন ডাল, চিপস ও বড় ড্রিংকসহ বিভিন্ন প্রকার শিশু খাদ্য তৈরি করে আসছিলেন কারখানার মালিক মো: হোসাইন।
সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কারখানা দুটিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যাট মো: তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ট্রাস্কফোর্স সদস্যরা অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে তারা কারখানায় গিয়ে দেখেন বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নকল খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। পরে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকা ও কারখানা পরিচালনায় কোন ধরনের বৈধতা না থাকায় মালিক মো: হোসাইনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় দুটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল খাদ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যাট মো: তৌহিদুল ইসলাম জানান, পরিমাণ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর ২৪(১) এর ৪১ নং ধারা ভঙ্গ করার কারণে কারখানার মালিক মো: হোসাইনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
অভিযানে থাকা বিএসটিআই কুমিল্লা কার্যালয়ের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: লুৎফুর রহমান সাংবাদিকদেরকে জানান, তারা বিএসটিআই এর মোড়ক নকল করে দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে আসছিলেন। শিশু খাদ্যগুলোতে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার ও নোংরা পরিবেশে তৈরি যা স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্নক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে অবৈধ ও নকল কারখানার বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।