ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে (ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসাইন শোভন এর সমর্থকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আয়াশ রহমান এজাজ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবীকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দৌড় দিতে দেখা যায়।
ঘটনাটি আজ ৫/৫/২৪ ইং রোজ বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় ঘটে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ওই যুবক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, নিহত আয়াশ রহমান এজাজ (২৩) শহরের কলেজপাড়ার আমিন মিয়ার ছেলে। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী অনার্স কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভনের পক্ষে কলেজপাড়ায় দুটি নির্বাচনী ক্যাম্প বসানো হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে এ ঘটনায় এজাজ গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় মারা যায়।
উক্ত ঘটনায় কলেজপাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান-পূর্ব বিরোধের জেরে গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে নিহতের স্বজনরা জানান এর ভিন্ন কারণ, খ্রিস্টীয়ান মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন বিজয়ী হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি জালাল উদ্দিন খোকা। পরে ওই এলাকা থেকে আনারস প্রতীকের বিজয় মিছিল বের হলে জালাল উদ্দিন খোকাসহ তার অনুসারী হাসান আল ফারাবী জয় সহ আরো কয়েকজন মোটারসাইকেলে করে এসে হামলা চালায়। এ সময় জয় এজাজের মাথায় গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।