মাদারীপুরের শিবচরে এক নববধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পরে পলাতক রয়েছে নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দক্ষিণ বহেরাতলা গ্রামের আলী হাসানের সাথে মাদারীপুর সদর উপজেলার খালাসীকান্দি গ্রামের তাহমিনা আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে বছরখানেক আগে। বিয়ের পর থেকে তাহমিনার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিলো। শনিবার (১ জুন) বিকেলে তাহমিনাকে তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন নির্যাতন করলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২ জুন) রাতে তাহমিনা আক্তারে মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পরই তাহমিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই রনি হাওলাদার বলেন, আমার বোন তাহমিনাকে তার স্বামী আলী হাসানসহ তার বাবা-মা মিলে নির্যাতন করে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। সেখানেই আমার বোন মারা যায়। মারা যাওয়ার পর বোনের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও চিকিৎসার জন্য রাখা টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে গেছে। আমি এদের বিচার চাই।
নিহতের পর থেকে আলী হাসান ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকার কারণে তাই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির এসআই আশরাফ হোসেন জানান, সোমবার (৩ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাহমিনার মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। নিহতের পরিবার নিজ জেলায় মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।