নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এসে দুজন প্রার্থিতা ফিরে পেলেও ব্যর্থ মনোরথে ফিরতে হয়েছে তিন জনকে। প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং ময়মনসিংহ-৯ আসনের নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুস সালাম।
তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া ফরিদপুর-৩ আসনে শামীম হক, যশোর-৪ আসনে এনামুল হক ও বরিশাল-৪ আসনের শাম্মী আহমেদ প্রার্থিতা ফিরে পাননি। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে শাম্মী আহমেদ, সাদিক আবদুল্লাহ, শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
আর আব্দুস সালাম ও এনামুল হকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল ঋণ খেলাপির অভিযোগে। পরে ইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন চার প্রার্থী।
আজ সোমবার এসব রিটে প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্টের আলাদা দুটি বেঞ্চ চারটি রিটে পৃথক আদেশ দেন। আদালতে শামীম হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাঈদ রাজা ওশাহ মঞ্জুরুল হক।
শাম্মী আহমেদ ও এনামুল হকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আব্দুস সালামের পক্ষে শুনানি করেন প্রবীর নিয়োগী ও মতিউর রহমান ভূঁইয়া। আর সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এনামুল হক, শামীম হক ও শাম্মী আহমেদের রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আগামীকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে কালের কণ্ঠকে জানান আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
