
স্বপন মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ফুটন্ত গরম পানির সাথে লবণ ও মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে (ঘুমন্ত অবস্থায়) স্বামীর দেহের উপর ঢেলে দিয়ে শরীলের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দিয়েছে তার স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেংগুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে এঘটনায় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হাসপাতাল ও স্থানীদের সুত্রে জানা যায়, ঝলসে যাওয়া আহত ব্যক্তি সেংগুয়া গ্রামের আমজাদ ভূইয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩৮)। রুবেল মিয়া প্রথম স্ত্রী’র মৃত্যুর পর ধনবাড়ী উপজেলার কাঠালিয়াবাড়ীর নুরুল ইসলামের মেয়ে নাছিমা বেগমকে বিবাহ করেন। বিবাহের ১৫ বছরে তাদের পরিবারে দুই কন্যা সন্তান জন্ম হয়। এর পর রুবেল মিয়া পুনরায় তাড়িয়াপাড়া এলাকার রাশেদা নামের এক নারীকে ৩য় বিবাহ করে।
সেই বিবাহের পর থেকে রুবেল মিয়ার সংসারে অশান্তি বিরাজ করে। এই নিয়ে নাছিমাকে একাধিকবার তালাক দিয়ে পুনরায় আবারো বিবাহ করে রুবেল মিয়া। ধীরে ধীরে এ নিয়ে পারিবারিক কলহ বেড়েই চলে। সেইসব জের ধরে মঙ্গলবার সকালে নাছিমা বেগম তার স্বামী রুবেলকে (ঘুমন্ত অবস্থায়) হত্যার উদ্যেশে গরম পানি ঢেলে দেন শরীরে। পরে রুবেল মিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। পরে অবস্থার অবনতি দেখে দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত রুবেল মিয়ার ভাতিজা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি আমার চাচার ওপর গরম পানি ঢেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঝলসে দিয়েছে। চাচাকে হত্যার জন্য এ কাজ করেছেন তার চাচি।
এ বিষয়ে নিয়ে সরিষাবাড়ী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মেহেদী হাসান জানান, আহত ব্যক্তির শরীলের ৩৬% ঝলসে গেছে। তার মাথা, বুক এবং পিঠের প্রায় অংশ ঝলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এখনও লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।