পুনম শাহরীয়ার ঋতু, জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার দুপুুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েই চলেছে। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় শত শত যাত্রীদের উত্তরবঙ্গেও একমাত্র মুখস্থল চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে গাজীপুর, কোনাবাড়ী,মৌচাক,সফিপুর ও আশুলিয়ার শিল্প-কারখানাগুলো ছুটি না হলেও পরিবারের কিছু সদস্য আজ থেকেই ঈদে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সকালে উত্তরবঙ্গগামী কয়েক কিলোমিটার ধীরগতি যানজট দেখা গেছে।
দিনাজপুরগামী সালেহা বেগম ও শহিদুল ইসলাম জানান, দুপুরের পর চন্দ্রা এলাকায় এসে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোন বাস পাচ্ছি না। সব বাসগুলো ঢাকা-আশুলিয়া ও গাজীপুরের দিকে যাচ্ছে। দুপুরের দিকে অনেক যাত্রীদের ট্রাকের উপর বসে যাত্রীদের যেতে দেখা গেছে। তবে লোকাল কিছু যাত্রীবাহী বাসগুলোতে টাঙ্গাইল ও বগুড়ার কথা বলে বেশি ভাড়ায় ডেকে ডেকে তুলছেন। তবে বাস চালকদের দাবী এখনো কোন যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে না।
বিনিময় পরিবহনের চালক আব্দুল আজিজ জানান, আগামী কাল রিজাভ টিপ ধরেছি। আজকে রাতেই সফিপুর এসে থাকবো। সেখান থেকে নওগা জেলায় বসবাসকারী যাত্রীদের নিয়ে যাবো।
নাওজোড় হাওয়ে থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, আজ সোমবার থেকে যাত্রীদেও চাপ বেড়েই চলছে। রাত থেকে কিছু কিছু পোশাক তৈরির কারখানা ছুটি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এই ওসির শংকা মঙ্গলবার বিকেলে যদি এক সাথে এই অঞ্চলের সব পোশাক তৈরির কারখানাগুলো ছুটি হয়,তাহলে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার উত্তর অংশে যানজটে পড়ে ভোগান্তির শিকার হতে পারেন যাত্রীরা। যদি পোশাক তৈরির কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া হলে কোনক্রমেই যানজটে যাত্রীদের পড়তে হবে না।