আব্দুস সাত্তার, বিশেষ প্রতিনিধি
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, আমি সবসময় মানুষের পক্ষে বা ন্যায় সঙ্গত কারনের পক্ষে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কোন সরকার নেই কিন্তু বাংলাদেশে হয়েছিল, এখন সংবিধানে নাই। এরশাদকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল। রাজনীতিতে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করতে পারলে সেখানে সবই আইন, আর না পারলে সবটাই বেআইনি বলেও মন্তব্য করেছেন কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। এখন দেখতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি অর্জন করতে পারে, দেশে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক হবে। আর না হলে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) কোন উপায় নাই তিনি তার প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়েন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব মন্ত্রী বাদ দিয়ে আরো ১০০ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারেন। একজন পাগলকেও মন্ত্রী বানাতে পারেন কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী তার পদত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই।
সোমবার দুপুরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম টাঙ্গাইলের তার নিজ বাসভবন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংবদ নির্বাচনে কোন জোটে যাবো কি না জানি না। তবে বিএনপির সাথে কোন জোটের যাবেন না বলেও জানান তিনি।
ভিসানীতি নিয়ে তিনি বলেন, এটা সব সময় থাকে। যে কোন সরকার তার ইচ্ছেমত ভিসা দেয়। আমাদের প্রতিবেশি ভারত, দুইজনে দরখাস্ত করলে রোগীকে ভিসা দেয় আর তার সঙ্গে যে থাকেন তাকে দেয় না।এটা তাদের ইচ্ছেমত এবং পৃথিবীর সবার ইচ্ছেমতই ভিসা দেয়। বাইরের লোকেরা যে আমাদের দেশে আসে আমাদের এম্বাসিগুলো ওই একই কাজই করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এই ভিসানীতি নিয়ে কোন কথা থাকতো না। ভিসা নিয়ে কথা আসছে রাজনীতির কারনে। আমি মনে করি এই ভিসার যে করাকরি বা ভিসা যে অস্ত্র জাতীয় নির্বাচনে যেন কেউ বাধা না দেয়। আর বাঁধা দিলে তার উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। এটা আমাদের অপমান করা ছাড়া আর কিছু না।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক।