গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাতলা ও তালতলী পৃথক দুটি স্থানে আনন্দ পার্কের ভিতরে সোমবার পৃথক দুইনারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোনাতলা এলাকায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও এক নারীকে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে সামছুল হক নামের এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন।পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত যুবকে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরন করেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ধর্ষণের শিকার নারীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার দুপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির নারী শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয়। তবে সবুজ নামের ধর্ষককে স্বানীয় সামছুল হক পালিয়ে যাওয়ার সহযোগিতা করেন। ধর্ষক সবুজ হলো উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের সোনাতলা এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে। ওই শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে খেলা করার সময় তাকে ডেকে সবুজের ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে যায় । পরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোড়পূর্বক ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।
এসময় ঐ শিক্ষার্থীর চিৎকারের শব্দ পেয়ে ধর্ষিতার ছোট ভাই সবুজের ঘরের পাশে গিয়ে ঘরের ভিতর কান্নার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। অপর দিকে কোটামনি গ্রামের এক তরুণীকে ঢোল সমুদ্র এলাকা থেকে মোটর বাইকে তুলে নিয়ে তালতলী এলাকার আনন্দ পার্কে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। এঘটনায় ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে আইনাল হোসেন (৪০) নামের একজনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আসামী আইনাল হোসেন হলো, একই জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে। তবে পুলিশ দুইটি ধর্ষণের ঘটনায় মুল আসামীদের ধরার জন্য্র কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন। কালিয়াকৈর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, দুইটি ঘটনায় একজন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকী আসামী গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।