দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। গত মঙ্গলবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে দায় হিসেবে রিজার্ভ থেকে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। এর ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। গতকাল বুধবার (১ মার্চ) রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। ঠিক এক বছর আগে একই সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
আকু আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, ভারত, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে লেনদেনের দায় পরিশোধ হয়ে থাকে। তবে নিজেদের অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রতি দুই মাস অন্তর নিজেদের মধ্যকার দায় নিষ্পত্তি করা হয়।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় চার মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। এদিকে রিজার্ভের পতন ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রথম কিস্তির প্রায় ৪৭ কোটি ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসছে তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে।
ডলারের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে চাপ বেড়ে রিজার্ভ কমছে ধারাবাহিকভাবে।
চলতি অর্থবছরের জরুরি আমদানির জন্য এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতো পরিমাণ ডলার এর আগে কখনোই বিক্রি করা হয়নি। বরং বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে সংগ্রহ করেছিল।
গত ২০২১-২২ অর্থবছর বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রির ফলে বাজার থেকে টাকা উঠে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এতে রিজার্ভ কমছে। একই সঙ্গে টাকা তারল্যেও চাপ তৈরি হচ্ছে। এ পরিস্থিতি দূর করতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.