কিশোরগঞ্জের উপজেলা গুলিতে আমন ধানের চাষীরা চরম ভাবে দুশ্চিন্তায় মগ্ন।জেলায় প্রবাহিত নদ -নদী গুলির পানি ক্রমান্বয়ে উচ্চ গতিশীল, ইতিমধ্যে খাল-বিল,নালার পানি বৃদ্ধি পেয়ে, পানিতে তলিয়ে গেছে ধান জমি।ধারনা করা হচ্ছে পানির যে প্রবাহতা তা যদি এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে বিরাট রকমের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে উক্ত জেলার ধান চাষীদের।
ধান আমাদের দেশের প্রধান ফসল,ধান শুধু আমাদের খাদ্যের জন্য তা নয় ধানের খড় থেকে গৃহ পালিত পশুদের খাবার আসে।সর্বপরি প্রকৃতিগত ভাবে নিদারুণ শ্রী বৃদ্ধি করে ধানের ক্ষেত।পাকা ধানের গন্ধ পল্লি গাঁয়ের সাথে মিশে থাকা সোনার মানুষদের মন ভরে দেয়।ধান জমির ক্ষতি আমাদের জন্য সত্যি খুব বিভৎস রুপ।
প্রথমে এ বছর বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা না দেখে, ব্যাপক হারে আমনের চাষে নিমজ্জিত হয়েছিল কৃষকেরা।সঠিক পরিচর্যায় সন্তান স্নেহে লালন করে যাচ্ছে ধানের ক্ষেত,কারো কারো ক্ষেত চারা রোপনের দু দিনের মধ্যেই পানির নিচে যেগুলো খাল- বিল,নদী- নালার তীরবর্তী জমি।আমরা দেখেছিলাম জৈনেক কৃষক দৈনিক শ্রমিক(রোজের কামলা) নিয়ে পানি বন্ধি ক্ষেতেই গুছি দিচ্ছেন। কথা বলেছিলাম কৃষক সুলতান(৪২) এর সাথে-
“ক্ষেতে বাইরের পানি আয়া পরচে,তবো কিচ্ছুই করবার নাই,ক্ষেত লাগানোই লাগবো,জালা ফালছিলাম অততা।ক্ষেত চয়াটয়া ধান লাগানির উপযুক্ত বানাইতে মেলা খরচপাতি অইচে,অহন পানি যদি কমে তাইলে বাচুম,না অইলে তু মেলা ক্ষতি অইবো”
চারদিকে কৃষকের হতাশা হু হু করে বাড়ছে নদ- নদীর পানি।তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা জমি। পুরু জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে অপুশনীয়।তবু আমনের ক্ষেতে সার বপনে দেখতে পায়, সবুজ(৩২) তার জমিতে এখনো পানি নাগাল পাইনি তবে যে মাত্রায় পানি বৃদ্ধি হচ্ছে দু- তিনদিন লাগবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তার ধান জমি ছুতে।তিনি মিশন৯০ কে বলেন-
“রাহে আল্লাহ মারবো কে,মারলে আল্লায় রাহে কে,অতো টেয়া পয়সা খরচো হরচি যা অওয়ার অইবো,থাইম্মা তাকলে অইতনা”
কৃষি গবেষকদের মতে বন্যার পানি জমি ছুয়ে নেমে গেলে আমন ধান হয় উচ্ছ ফলনশীল। পানি কিছুদিন স্থায়ী হলে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়।