“এসো বন্ধু মিলিত হই প্রাণের স্পন্দনে ভালোবাসার বন্ধনে” এই শ্লোগান ধারণ করে এসএসসি- ২০০০ ব্যাচ টাঙ্গাইল জোনের তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছর পর ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়।
অনুষ্ঠানে শুধু টাঙ্গাইল জেলা নয়, সারা দেশের এসএসসি ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আমন্ত্রিত ছিল। সকাল থেকেই জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বন্ধুরা আসতে শুরু করে। সৃজনশীল নানান আয়োজন শেষে মধ্যাহ্ন বিরতি দেওয়া হয়। বিরতি শেষে আড্ডা ও নাচ- গানের মাধ্যমে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠে। এরপর সুজন রাজা ও ফুলকুড়ির যৌথ সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরো আয়োজনে আনে ভিন্ন মাত্রা। সব শেষে ছিল র্যাফেল ড্র।
আয়োজকরা জানান, “এসএসসি- ২০০০ ব্যাচ” টাঙ্গাইল বন্ধুদের নিয়ে একটি ফেসবুক পেইজ খোলা হয়। গ্রুপে জেলা- উপজেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে ২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এমন বন্ধুদেরকেই শুধু যুক্ত করা হয়। পরে তা শুধু জেলার মধ্যেই নয় পুরো দেশেই ২০০০ ব্যাচের বন্ধুরা যুক্ত হতে থাকে। এই ব্যানারেই আজ অনুষ্ঠান হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০শত বন্ধু উপস্থিত ছিলেন বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় অনুষ্ঠানে এসে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। খোঁজখবর নেন পুরনো বন্ধু এবং তাদের পরিবার-পরিজনের। অনেকেই এ সময় স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণায় মেতে ওঠেন। অনেকে বহুদিন পর প্রিয় বন্ধুকে পুনরায় কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এভাবে অনুষ্ঠানস্থল এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
এসএসসি- ২০০০ ব্যাচ টাঙ্গাইল জোনের এডমিন এএইচ রুবলে বলেন, “এসএসসি- ২০০০ ব্যাচ ২৩ বছর পর একত্রিত হয়েছি। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।” কৈশোরের বন্ধুত্ব কখনও হারায় না। কর্মব্যস্ততায় আমরা হয়তো ছেলেবেলার কথা ভুলে থাকি, কিন্তু ছেলেবেলা কখনও মুছে ফেলা যায় না। এ কারণে জীবন চলার পথে যতো মানুষের সঙ্গেই বন্ধুতু হোক না কেন, ছেলেবেলার বন্ধুত্বের মতো তারা কখনও স্মৃতিযোগ্য নয়। জীবনে একজন হলেও প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন। আর স্কুল লাইফের ফ্রেন্ডই হতে পারে সেই প্রকৃত বন্ধু। এ কারণেই আমরা সবাই মিলে চেয়েছিলাম এমন একটা আয়োজন করতে যেখানে সবাই একসঙ্গে বহুদিন পর একত্রিত হতে পারবো। এমন সফল একটি আয়োজন আমার ছেলেবেলা, আমার স্কুলজীবনকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা আরো বড় পরিসরে বন্ধুদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতে চাই। আজকে সেই স্বপ্নের পথে আমাদের চলা শুরু হলো।”
আয়োজকদের মধ্যে আরো কয়েকজন বন্ধু বলেন, “আমাদের এই মিলন মেলার অনুষ্ঠানটি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা আজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। এক সময় আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করলেও, জীবিকার তাগিদে অনেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। অনেকেই জেলার বাইরে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত। জীবনের এমনই নিয়ম। এখন হয়তো কালেভদ্রে সেসব বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। ফলে আমরা চেয়েছিলাম এবারের আয়োজনে সবাই একত্রিত হতে । সবাইকে পেয়ে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা হলো ।”