আন্তর্জাতিক

উড়োজাহাজকেও যখন ছাড়িয়ে যাচ্ছে বেলনু!

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একটি চীনা গোয়েন্দা বেলুন শনাক্ত হয় । প্রায় ৬০ হাজার ফুট ওপর দিয়ে ভেসে থাকা বেলুনটিকে মিসাইল ছুড়ে ভূপাতিত করা হয়।

এরপর পরবর্তী সময় যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউক্রেনের আকাশেও শনাক্ত হয় এমন সব বেলুন। এসব বেলুন কারা বানাচ্ছে কি কারণে বানাচ্ছে, তা নিশ্চিত নয় কেউ।

২০০২ সালের মে মাসে উত্তর জাপানের সানরিকু বেলুন সেন্টার থেকে একটি বেলুন উৎক্ষেপণ করা হয়, যা ভেঙে দেয় বেলুনের উচ্চতার সব রেকর্ড।

১৯০১ সালে প্রথমবারের মতো বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তরে পৌঁছানো বেলুনের রেকর্ডও ছাড়িয়ে আরও ঊর্ধ্বাকাশে উঠতে থাকে এটি।

সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগর ও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত হাজার হাজার মাইল ওড়ার পর চীনা বেলুনটিকে মিসাইল ছুড়ে নামায় যুক্তরাষ্ট্র।

যা প্রমাণ করে এই বেলুনগুলোর সক্ষমতা। তবে তারা কতটা উঁচুতে উঠবে, তা নির্ভর করে পে-লোড বহনকারী বেলুনটি কতটা ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে তার ওপর।

আপাতদৃষ্টিতে সরল মনে হলেও এই অ্যারোনটিক্যাল ডিভাইসই গবেষণাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলোকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে যা অন্য কোনো উড়োজাহাজও পারে না।

এমনকি সেখানে বেশি সময় ধরে ভেসে থাকার প্রতিযোগিতাতেও এগিয়ে থাকবে বেলুনই। কী কাজে এসব তৈরি করা হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে সেগুলো কী বহন করবে।

জরিপের কাজে ব্যবহৃত হলে সে ধরনের যন্ত্র, যোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত হলে যোগাযোগের যন্ত্র, কিংবা গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহৃত হলে সেটি সেন্সর ও পর্যবেক্ষণ যন্ত্র থাকবে বেলুনে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বেলুনের জন্য ইলেকট্রনিক্স ডিজাইন অনেকটা মহাকাশযানের ইলেকট্রনিক্স ডিজাইন করার মতোই। ৯০ হাজার ফুট উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব মাত্র এক শতাংশ।

আর এই বেলুনগুলো বেলুনগুলো রকেট ও লঞ্চড স্যাটেলাইটের তুলনায় অনেক সস্তা। ফলে এগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি অনেক আগ্রহীরাও ব্যবহার করেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker