সিলেট

খাদ্য তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে ডিম-মুরগি

সিলেটে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ডিমও। এখন এক হালি মুরগির ডিম কিনতে হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। ফলে মুরগি-ডিম খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকদের।

এ সপ্তাহে নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি। রসুনের দাম কেজিতে কমেছে ২০-৩০ টাকা। সবজির বাজারও স্বাভাবিক রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও বোতলজাত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর মুরগির খাদ্যেরও দামও বেড়ে গেছে। প্রোডাকশন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে মুরগির বাচ্চা ও ব্রয়লার দাম বাড়ছে। ঢাকা থেকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের।

ঘাসিটুলা মোকামবাড়ি বাজারে মুরগি কিনতে আসা কুলসুমা বেগম জানান, ব্রয়লার মুরগি নাগালের মধ্যে নেই। গরু-খাসির মাংসের দাম আগে থেকেই নাগালের বাইরে চলে গেছে।

তিনি বলেন, যে মুরগি কেজি ১৪০-১৫০ টাকায় কিনেছি সেটি বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ টাকায়৷ তাই মুরগি না কিনেই যেতে হবে। লাল মোরগের দামও বেড়ে যাওয়ায় সন্তানদের পাতে ডিম-মাংস তুলে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। আর লাল মুরগি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে।

নগরীর রিকাবীবাজারে সবজি কিনতে আসা তালেব হোসেন নামের এক শিক্ষক জানান, প্রতিদিন কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। সবজি থেকে শুরু করে কোনো পণ্যের দাম কমতে শুনছি না। শুধু বাড়তেই আছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল (ছোট) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। বড় মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছ ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগররীর রিকাবীবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, মদীনা মার্কেট ও মেডিকেল রোডসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, দোকানে পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহ থাকলেও দাম তুলনামূলক বেশি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০-১৫০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, ফুলকপির কেজি ২৫ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও মিডিয়াম সাইজের প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচকলা ৪০ টাকা, প্রতি আটি লাল ও পালং শাক ১০-১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব শাকসবজির দাম কেজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা।

সবজি বিক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে শিমের বিচির দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও শিমের বিচি ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ সেই শিমের বিচি প্রতি কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker