টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল আ’লীগের কমিটি চূড়ান্ত হলেও ‘নাম নেই’ মুরাদ সিদ্দিকীর

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এতে সিদ্দিকী পরিবারের সন্তান মুরাদ সিদ্দিকীকে রাখা হয়নি বলে দলটির জেলার একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, নতুন কমিটিতে মুরাদ সিদ্দিকীর পদ পাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন চলছিল। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে সবুজ সংকেতও দেওয়া হয়েছিল। তবে জেলার কয়েকজন নেতা ও সংসদ সদস্য তাঁকে দলে নেওয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন।

মুরাদ সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ভাই।

দলীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ঢাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো: আব্দুর রাজ্জাকের বাসায় বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করা হয়। রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে আব্দুর রাজ্জাক ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম অংশ নেন। বৈঠক চলার সময় আব্দুর রাজ্জাকের বাসভবনে জেলার বেশ কয়েকজন নেতা ও সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা জানিয়েছেন, কমিটি চূড়ান্ত করার সময় মুরাদ সিদ্দিকীকে কমিটিতে রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত যে কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে, সেই কাগজ কেন্দ্রীয় দপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

এ প্রসঙ্গে মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাজ করার জন্য অপেক্ষায় আছি। কমিটিতে স্থান পেলাম, না পেলাম, এটা বড় কথা না। আমি সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে আসছি।’

১৯৯৯ সালে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে নতুন দল গঠন করেন। মুরাদ সিদ্দিকী তখন ভাই কাদের সিদ্দিকীর দলে যোগ দেন। ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুরাদ সিদ্দিকী। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।

মূলত ২০০৯ সাল থেকে মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তবে এই দুবার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন মুরাদ সিদ্দিকী।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker