জামালপুর

আট সন্তানের জন্ম দিলেন জামালপুরের দুলেনা ও আঞ্জুয়ারা

জামালপুরে একইসঙ্গে আটটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন দুলেনা ও আঞ্জয়ারা নামে দুই গৃহবধূ। এ নিয়ে জেলা দুই নারী একদিনে ৮টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে দুলেনার কোল জুড়ে আসে চার সন্তান। এদের মধ্যে তিন মেয়ে সন্তান স্বাভাবিক থাকলেও মারা যায় ছেলে সন্তানটি।

দুলেনা জেলার ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ার চর মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক সাজু মিয়ার স্ত্রী। সাজু-দুলেনা দম্পতি আগের পাঁচটিসহ মোট ৮ সন্তানের পিতা হতে পেরে আনন্দে আত্মহারা।

এ খুশিতে সাজু মিয়া বলেন, আমার আরও পাঁচটি সন্তান আছে। আজ আরও তিনটি সন্তানের জন্ম হলো। মোট আট সন্তানের বাবা হলাম। এ আনন্দ বলে বোঝাতে পারবো না।

জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিউলি খানম বলেন, আমি ১০ বছর ধরে প্রসূতি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে কখনো একইদিনে দুই নারীর আট সন্তান প্রসবের ঘটনা দেখিনি। বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যজনক।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক প্রসন দেবনাথ বলেন, একইদিনে দুই নারীর আট শিশু জন্মের ঘটনা জেলায় বিরল। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করায় শিশুদের ওজন কম, এতে কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে জামালপুর এপোলো হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একইসঙ্গে চার মেয়ের জন্ম দেন আঞ্জুয়ারা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূ। আঞ্জুয়ারা সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আতাউর রহমান বাবুর স্ত্রী।

আঞ্জুয়ারার স্বামী আতাউর রহমান বাবুর জানান, ৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু এই প্রথম তারা সন্তানের বাবা-মা হলেন। একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় তিনি অবাক হয়েছেন এবং খুশিও হয়েছেন বলে জানান।

গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ বলেন, বর্তমানে প্রসূতি ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন। তবে বাচ্চাদের ওজন যথাক্রমে এক কেজি ৮০০ গ্রাম, এক কেজি ৭০০ গ্রাম, এক কেজি ৬০০ গ্রাম ও এক কেজি ৪০০ গ্রাম। তাদের ওজন কম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এপোলো হাসপাতালের পরিচালক শরিফুজ্জামান রুবেল জামালী বলেন, বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতো। একে একে চারটি সন্তান প্রসব সত্যিই বিরল। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অনেক মানুষ ছুটে আসেন। বর্তমানে মা ও শিশুরা ভালো রয়েছে বলেও জানান তিনি।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker