টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় শিশুসহ তিন অটোরিকশাযাত্রী নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু-তারাকান্দি রেললাইনের ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ঢেঁপাকান্দি নামকস্থানে এদূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছেন-ভূঞাপুর উপজেলার আগতেরিল্লা গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫), একই গ্রামের সংগ্রাম আলীর মেয়ে জান্নাতি (১), অপর এক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।নিহতদের মধ্যে দুই জনের লাশ ভূঞাপুর থানায় রয়েছে ও অপর একজনের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বজনরা নিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনরা জানায়, ভূঞাপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি ফলদা বাজারে যাচ্ছিল। ট্রেনের শব্দ শুনেও চালক অটোরিকশাটি না থামিয়ে অরক্ষিত রেলক্রসিং পাড় হচ্ছিল। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে তারাকান্দিগামী একটি লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি বেশকিছু দূর পর্যন্ত ছেচঁড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আহত ৬ জনকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। পরে আহত পাঁচজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভূঞাপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মো: আব্দুল কাদের জানান, বুধবার ১২ টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন থেকে ২৫৪ নম্বর লোকাল ট্রেনটি তারাকান্দি হয়ে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। ট্রেনটি ভূঞাপুর উপজেলার ঢেঁপাকান্দি রেলক্রসিংয়ে পৌঁছলে একটি অটোরিকশার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে (জিআরপি) জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, জামালপুরের তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনগামী একটি ট্রেন ভূঞাপুর উপজেলার ঢেঁপাকান্দী রেলক্রসিং পাড় হওয়ার সময় একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়। ওই ঘটনায় গুরুতর আহতাবস্থায় পাঁচজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: বেলাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হতাহতদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দাফন ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।