শীতকাল সরিষা চাষের উপযুক্ত মৌসুম। ফলে এই শীতে মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য। দিগন্ত সেজেছে যেন হলুদের বাহারি সাজে। বাতাসে ভেঁসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর সেই গন্ধ সবাইকে আকৃষ্ট করে তুলেছে। সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহে চোখ জুড়িয়েছে সবার। এমন দৃশ্য ধামইরহাটের সব এলাকায়। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন সরিষা চাষিরা।
সরেজমিনে ধামইরহাটের ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ঘুরে দেখা যায়, বিস্তির্ন মাঠে যতদূর পর্যন্ত চোখ যায় ততদুর শুধু সরিষার হলুদ রংগের বাহারি সাজ। সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে মাঠ। এমন দৃশ্য মুগ্ধ করছে মানুষকে। ইতিমধ্যে সরিষা কোন কোন গাছে আসতে শুরু করেছে দানা। সরিষা চাষিরা জানান, কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় সরিষা চাষে। এছাড়া ভোজ্য তেলের দাম লাগামহীন হওয়ায় এ উপজেলায় অনান্য বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। ফলে রোপন করা সরিষা নিয়ে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন কৃষকরা। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
উপজেলার উমার ইউনিয়ের চকইলাম গ্রামের কৃষক হুমায়ন কবির বলেন, ‘২ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। বিঘায় ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ন্যায্য বাজার মূল্য পেলে প্রতি বিঘায় ২৮-৩০ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
ধামইরহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ‘চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৭৮৫ হেক্টর বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব কৃষক সরিষা চাষ করছেন তাদের পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে সরিষা সহজ ও অল্প খরচে চাষ করা যায়। আশা করছি উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।’