বিএনপি

আতর মেখে মুজিবকোট পড়া নেতাদের খুজে পাওয়া যাবে না

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, খলেদা জিয়া বন্দি মানে আজ দেশের মানুষ বন্দি। গোটা দেশে হাহাকার উঠে গেছে। তাই দেশের মানুষ ফুসে উঠতে শুরু করেছে। যারা মুজিবকোট পরে আতর মেখে বেড়াচ্ছেন আগামী ১০ তারিখের পর তাদের আর খুজে পাওয়া যাবে না।

সোমবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টায় বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিত্য দ্রব্যমূলের অসহনীয় উর্ধগতি, দুর্নীতি-দুঃশাসন, খুন, গুম, হত্যা ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু বলেন, জেলখানায় খালেদা জিয়াকে রেখে অনেক অপহাস করছেন আওয়ামীগ নেতারা। যেদিন আওয়ামীগ নেতাদের পায়ে শিকল চড়বে সেদিন বুঝবে কতধানে কত চাল।ইতিমধ্যে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের মারামরি শুরু হয়ে গেছে। দলীয় পদ নিয়ে আ”লীগ নেতারা চেয়ার দিয়ে মারামারি করছে। দেশের মানুষ বিনা ঘুসে চাকুরী চায় স্বাছন্দে চলাফেরা করতে চায়।

দুলু বলেন, রাতের আধারে ক্ষমতায় আসা এই আ’লীগ সরকারের শাসনামলে একজন খুনির জামিন হয়, ধর্ষণকারীর জামিন হয় কিন্তু একটা দেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন হয় না। স্বাধীনের কথা বললেও তারা বিচার বিভাগকে নিজেদের আয়ত্বে রেখে হিংসার রাজত্ব কায়েম করছে।

তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমুল্যের উদ্ধর্গতির কষাঘাতে সাধারণ মানুষকে আজ নিষ্পেষিত। যেদিন তারেক রহমান দেশে আসবে সেদিন দেশে ভুমিকম্প হবে। যারা মুজিবকোট পরে আতর মেখে বেড়াচেছন সেদিন তাদের খুজে পাওয়া যাবে না। তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। সারাদেশে দ্রব্যমুল্যের অসহনীয় উর্ধগতির কারনে সারা দেশের মানুষ আজ জেগে উঠতে শুরু করেছে। এজন্যই আ’লীগের মন্ত্রী এমপিদের কথার সুর পাল্টাতে শুরু করেছে।

দুলু আরও বলেন, জেল দিয়ে গুলি করে বিএনপিকে আর আটকিয়ে রাখতে পারবে না। তাদের গুলি করা বন্দুক আজ ভোতা হয়ে গেছে। সরকার আজ আন্তার্জাতিক ভাবে বন্ধু শুন্য হয়ে গেছে।
আগামী ১০ তারিখের পর সেইসব নেতাদের আর দেখা যাবে না।

সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক একেএম মমিনুল হকের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান ভিপি আনিছ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুর সাত্তারসহ ৯টি ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

এর আগে বিকেল থেকে সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত আসতে শুরু করেন এবং সন্ধ্যার মধ্যেই বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ জনসমুদ্রে পরিনত হয়ে যায়।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker