ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আদালতের পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনর্চাজ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভুঁইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনেস্টেবল শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।
সোমবার (২১ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন জানান, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনা উদঘাটনে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশ সদস্যদের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। জঙ্গি নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ সদস্যদের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ।
পলাতক ওই দুই জঙ্গিসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর প্রতিটি থানা ও অন্যান্য ইউনিটকে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারা যেন ঢাকার বাইরে না চলে যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে পালিয়ে যাওয়া ওই দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে বাংলাদেশ পুলিশ।