প্রকৃতিতে সকাল সাঝে শীতের আনাগোনা বাড়ছে,এসেছে ঋতু হেমন্তের খামে শীতের আগাম চিঠি। এরই সাথে সাথে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার থেকে শুরু করে পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে লেপ, তোষক, বালিশ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। শীতের আগমনের পূর্বেই বিক্রির উদ্দেশ্যে লেপ-তোষক, বালিশসহ বিভিন্ন শীত নিবারণের পোশাক মজুদ করে রেখেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।হেমন্তের বিভাজন রচনা হবার পরক্ষণেই যে পৃথিবী স্তব্ধ করা শীত বেড়াতে আসবে ভূপৃষ্ঠের উত্তপ্ত পোষাক ফেলে। তারই যেন বরণডালা সাজাতে ব্যস্ত মানুষ জন।
কুয়াশার সুভ্র বিচরণের ফলে বিশেষ করে রাতে ক্ষানিকটা উপলব্ধি করা যায় শীতে জানান দিচ্ছে ধীরে ধীরে, নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহ থেকেই শীত নামতে শুরু করেছে। তাই আগাম শীতের কারণে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা। লেপ-তোষক তৈরির জন্য অগ্রিম বায়না নিচ্ছেন কোন কোন কারিগররা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হাজিপুর বাজার, ভোটের বাজার, নতুন বাজার, রামপুর বাজার, নতুন আশুতিয়া, কাওনা বাজার ও পৌরসভা সহ বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
এসময় হোসেনপুর বাজারের হনুমানতলার সম্রাট বেডিং স্টোরের মালিক মোহাম্মদ সিরাজ জানান, শীতের আগমনের পূর্বেই মানুষে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যের জন্য লেপ, তোষক, বালিশ শীতবস্ত্র সংগ্রহে বিভিন্ন দোকানে দৌড় ঝাঁপ শুরু করছেন।
লেপ তোশক কারিগর রফিকুল জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরে কাজের চাহিদা বাড়ায় দম ফেলার সময় পাচ্ছি না।
উপজেলার পৌর শহরের ব্যবসায়ী আজিজ মিয়া জানান, একটি লেপ, তোশক বানাতে গত বছরের চেয়ে এবার দুই তিনশ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে।
ক্রেতা হিরো মিয়া বলেন, আর কয়েকদিন পরেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যাবে। ফলে লেপ-তোষকের কারিগররা বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। লেপ-তোষক তৈরির কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, তাই অগ্রিম টাকা দিয়ে লেপ-তোশক ক্রয়ে বায়না করেছেন বলে জানান তিনি।
