খুলনা

মরিয়ম মান্নানের আবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল

টানা ২৮ দিন আত্মগোপনে থাকা রহিমা বেগমকে অবশেষে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে মাকে ফিরে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের ফেসবুক পেজে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান।

তিনি লিখেছেন, ‘এইমাত্র দূর থেকে আমি আমার মাকে খুলনা ভিকটিম সেন্টারে দেখলাম। আমি আমার মাকে খুঁজেছি, পেয়েছি।আমার কলিজা শান্ত হয়েছে। আজকে ২৯ দিন পরে আমি জানলাম আমার মা ভিকটিম সেন্টারে আছেন। আমি নিজের চোখে মাকে দেখেছি, এটাই আমার শান্তি। এর থেকে শান্তি আমার আর কিছুই নেই। আমি চাই আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে, আমি চাই আমার মাকে জড়িয়ে ধরতে।

মরিয়ম আরও লিখেছেন, ধন্যবাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র‌্যাব-৬, খুলনার পুলিশ ও প্রশাসনকে এবং ধন্যবাদ প্রশাসনিক সকলকে যারা আমার মাকে উদ্ধারে কাজ করেছেন। আজকে আমি ২৯দিন পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজবাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা। পরে আর ঘরে ফেরেননি তিনি। অন্যদিকে স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। এ সময় একই দিন রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।

অবশেষে টানা ২৮ দিন পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় দিকে রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর পুলিশ সদস্যরা রহিমার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি। তবে যে বাড়িতে রহিমা বেগম অবস্থান করছিলেন সেই বাড়ির বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, রহিমা তাদেরকে জানিয়েছেন তিনি বেশ কয়েক দিন চট্টগ্রাম ও মোকসেদপুরে ছিলেন। এরপর ১৭ আগস্ট রহিমা বেগম তাদের বাড়িতে আসেন। তখন তার একটি ব্যাগে দুই প্যাকেট বিস্কুট, কিছু কাগজপত্র ও পরনের কয়েকটি কাপড় ছিল।

রহিমা বেগমকে যে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক কুদ্দুস একসময় খুলনায় রহিমার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।

এ দিকে নিখোঁজের ঘটনায় রহিমা বেগমের সন্তানদের মামলায় ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে আটকৃতদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে আত্মগোপন করেছিলেন রহিমা বেগম। বিষয়টি জানতেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker