কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আনন্দ মুখর পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী সাহেবেরচর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ব্রম্মপুত্র নদে শেখ রাসেল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা কিম্বা বাংলার আসল রুপ ফুটিয়ে তোলার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন, আব্দুল কাদির, সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, সিদলা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ সোহেল, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ হোসেনপুর।
রাবেয়া পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হোসেনপুর। আব্দুল কাইয়ুম খোকন, মেয়র, হোসেনপুর পৌরসভা। মাসুদ আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, হোসেনপুর থানা। কামরুজ্জামান কাঞ্চন, চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ, সিদলা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযুদ্ধা জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়া, সভাপতি, উপজেলা আওয়ামিলীগ, হোসেনপুর। এম এ হালিম, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামিলীগ, হোসেনপুর। আলহাজ্ব শাহজাহান পারভেজ, সদস্য, জেলা আওয়ামিলীগ, কিশোরগঞ্জ। মোস্তাফিজুর রহমান মোবারেজ, সভাপতি, পৌর আওয়ামিলীগ হোসেনপুর। মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন এম এ, সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ, সিদলা ও সাবেক যুগ্ন আহবায়ক উপজেলা ছাত্রলীগ, হোসেনপুর এবং মোহাম্মদ বদরুল আলম,সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, সিদলা।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন, আব্দুর রহমান বাদল, আহ্বায়ক, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ, সিদলা এবং শেখ মোহাম্মদ আহাদুল ইসলাম (আহাদ), সাবেক আহ্বায়ক, উপজেলা ছাত্রলীগ, হোসেনপুর।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ, সিদলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সকল সহযোগী সংগঠন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, সিদলা।
নৌকা বাইচ হলো নদীতে নৌকা চালনার প্রতিযোগিতা। “বাইচ” শব্দটি ফার্সি “বাজি” শব্দজাত যার বিবর্তন এরূপ:
বাজি>বাইজ>বাইচ। এর অর্থ খেলা। তবে এখানে দাঁড় টানার কসরত ও নৌকা চালনার কৌশল দ্বারা বিজয় লাভের লক্ষ্যে আমোদ-প্রমোদমূলক প্রতিযোগিতা বোঝায়। একদল মাঝি নিয়ে একেকটি দল গঠিত হয়। এমন অনেকগুলো দলের মধ্যে নৌকা দৌড় বা নৌকা চালনা প্রতিযোগিতাই হল নৌকা বাইচ।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আনন্দ আয়োজন, উৎসব ও খেলাধুলা সবকিছুতেই নদী ও নৌকার সরব আনাগোনা। হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংস্করণ বাংলাদেশের নৌকা বাইচ। এক সময় এ দেশে যোগাযোগ ছিল নদী কেন্দ্রিক আর বাহন ছিল নৌকা। এখানে নৌ শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্র। এসব শিল্পে যুগ যুগ ধরে তৈরি হয় দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগর। এভাবে একসময় বিভিন্ন নৌযানের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
পুরষ্কার হিসেবে বড় নৌকা সরঙ্গা প্রথম পুরষ্কার ৫০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার ৩২” এল ই ডি টিভি। বড় নৌকা চিপ প্রথম পুরষ্কার ৫০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার ৩২” এল ই ডি টিভি। ছোট নৌকা প্রথম পুরষ্কার ২০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার ২৪” এল ই ডি টিভি।
জানা যায়, লাখো মানুষের সমাগমে হৈ হুল্লোড়ে মুখরিত সাহেবের চর গ্রাম। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে নৌকা বাইচের আনন্দ ভাগ করে নিতে সাহেবের চরসহ প্রতিবেশি গ্রামগুলিতে আত্নীয় স্বজনদের ব্যপক উপস্থিতি, ঈদ আমেজ প্রতিটি মানুষের মনে।
স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ আব্দুল লতিফ জানান, দূর-দূরান্ত থেকে নৌকা সারা রাত ব্যপি আসতে থাকে, ডাকের শব্দ, খুঞ্জুরির তালে তালে রিহার্সাল চলে দুপুর অবধি। আরও জানা যায়, নদের পার ঘেঁষে ঘরে উঠেছে শতশত নিত্য প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমান দোকান।
স্থানীয় আল- আমিন, আবুল বাসার, মো: শহিদ,মাসুদ মিয়াসহ অনেকে প্রফুল্লচিত্তে জানান দেয়, যেসব নেতৃবৃন্দ এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সাহেবের চরকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেয় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
স্থানীয় মিন্টু হাসান জানান, এই নৌকা বাইচ কে সাফল্যমন্ডিত করতে, অন্যান্যদের পাশাপাশি আমাদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন ভাই অনেক চেষ্টা করেছেন যাতে অনুষ্ঠানটি বর্ণিল হয়, সিরাজ ভাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।
সাহেবের চর গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আয়োজনে ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সিদলা ইউনিয়ন শাখা।