আমি মাত্রই সোনালী ব্যাংক থেকে আমার স্বামীর ‘মুক্তিযোদ্ধার ভাতা’র ২০’হাজার টাকা তুলে বের হচ্ছি। তখনই ব্যাংকের ভিতরে বসে থাকা অচেনা এক লোক এসে বলেন আপনার ছেলে গোলাম মোস্তফা ৩৫’হাজার টাকা পাবে আমার কাছে। সেটা আপনাকে টাকা নিয়ে যেতে বলেছে। আপনার হাতে যে বিশ হাজার টাকা আছে সেটা আমাকে দিয়ে ৫০’হাজার টাকার একটি ফাইল নিয়ে যেতে বলেছে আপনার ছেলে।
প্রমাণিত করার জন্য আমার ছেলে মোস্তফাকে ফোন দিলো সেই প্রতারক। তখনই আমার থেকে টাকা গুলো নিয়ে বলে আমার টাকা ঐ আরামনগন বাজারে আছে, আপনি আমার সাথে আসেন আমি দিয়ে দিচ্ছি ৫০’হাজার টাকার ফাইল। তার পর বাজারে এসে সেই লোক উধাও হয়ে গেলো।
অশ্রুশীক্ত কন্ঠে অভিযোগ করে কথা গুলো বলেন সরিষাবাড়ী সোনালী ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা গ্রহণ করা এক গ্রাহক। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বারই পটল এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৬০)।
প্রতারকের খপ্পরে পড়া রাশেদা বেগম আরো বলেন- তিনি বৃহস্পতিবার (৮সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংকে আসেন তার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা তুলার জন্য। টাকা তুলে যাওয়ার সময় অপরিচিত এক লোকের মিথ্যা কথায় ভুলে ২০’হাজার টাকা হারিয়ে ফেলেন। তবে রাশেদা বেগমের অভিযোগ সেই প্রতারকটি ব্যাংকের ভিতরেই অবস্থান করছিলেন। টাকা তুলার পর সেই লোক আমার ছেলের পরিচয় দিয়ে অন্য মানুষের সাথে ফোনে কথা বলে টাকা গুলো নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
ফোন করার বিষয়ে রাশেদা বেগমের ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, সেই প্রতারক আমার মা’কে মিথ্যা বলেছে। প্রতারক আমাকে ফোন দেয়নি। আমি থানায় অভিযোগ করবো।
এ-বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার কায়ছারুল ইসলাম বলেন- সে ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর পর বাহির থেকে প্রতারক তার টাকা নিয়েছে। এখানে ব্যাংক কতৃপক্ষের কোন করনীয় নেই। ব্যাংকের ভিতরে হলে বিষয়টি আমরা দেখতে পারতাম।
এ-ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, এঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।