আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে এবার পরীক্ষার সয়মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বদলে দুই ঘণ্টায় নেওয়া হবে চলতি এসএসসি ও সমানের পরীক্ষা। সেই সঙ্গে পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ১১টায়। পরীক্ষার্থীদের হলে উপস্থিত থাকতে হবে ৩০ মিনিট আগে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার পরীক্ষা হবে দুই ঘণ্টার। এর মধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট, লিখিত এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়াতে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির মোবাইলে পরীক্ষার সেট কোড পৌঁছে যাবে। তিনি স্মার্ট ফোন নয়, ফিচার ফোন সঙ্গে রাখতে পারবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
মন্ত্রী বলেন, অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এক অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর শেষ হবে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ০৩ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর শেষ হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ০১ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৮ অক্টোবর শেষ হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু ভবিষ্যতে দুর্যোগের কারণে গোটা দেশ নয়, কেবল সংশ্লিষ্ট এলাকার পরীক্ষা স্থগিত করা হবে।
এবার মোট পরীক্ষার্থী দুই লাখ ২১ হাজারের বেশি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দুই অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
আগামী বছরের প্রথম দিন ৩৫ কোটি বই তুলে দেওয়া সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, ২০২৩ সালের নতুন বছরে পাঠ্য বই ছাপানো শুরু হয়নি। যদিও বছরের ৯ মাস চলছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের হিসেবে ছাপার কাজ শুরু হতে সময় লাগবে অক্টোবর।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা দেরিতে কিংবা মানহীন কাগজে বই ছাপছে তাদের কালো তালিকায় আনা হবে।