জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে ২০০ বছরের পুরোনো শ্রী’শ্রী খাগুড়িয়া ‘কালীমাতা মন্দিরে বর্ষ মঙ্গল’ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (২৭আগষ্ট) উপজেলার মহাদান ইউনিয়নে অবস্থিত খাগুড়িয়া কালীমাতা মন্দিরে দিনব্যাপী এই বাষির্কী ‘বর্ষ মঙ্গল উৎসব’ উদযাপিত হয়। শঙ্খ কাশরষন্টা উল’ধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রাতঃকালিন পূজায় এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন পৌরহিত্য রতন চন্দ্র কাঞ্জিলাল।
খাগুড়িয়া মন্দির সূত্রে জানা গেছে, বৃটিশ শাসন আমল থেকে এ বর্ষ মঙ্গল উৎসব প্রতি বছর এই দিনে পালিত হয়ে আসছে। তৎকালীন এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি যধিষ্ঠির মন্ডল এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেন। এই অঞ্চলটিতে জেলে সম্প্রদায়ের লোক বেশি বাস করতো। তারা পাশেই বয়ে যাওয়া ঝিনাই নদী থেকে মাছ শিকার করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। মাছ শিকার করতে গিয়ে জেলেরা দুটি পুরাতন মূর্তি পায়। পরে মূর্তি দুটি নিয়ে খাগড়িয়া এলাকায় পাটের শলা দিয়ে মন্দির নির্মাণ করে সেখানে রেখে তারা পূজা অর্চনা শুরু করে। দীর্ঘ দিন পরে দেশ বিভক্ত হলে পাকিস্তান আমলের প্রথম দিকে চিকিৎসক রামকমল পন্ডিত আবারো মন্দিরটি পূননির্মাণ করেন। তখন থেকেই খাগুড়িয়া কালীমাতা মন্দিরে এ বর্ষ মঙ্গল উৎসব পালিত হয়ে আসছে বলে জানান যায়।
এই উৎসব উপলক্ষে মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী রমেশ চন্দ্র সুত্রধরের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ-সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক শ্রী সুব্রত পাল (সি আই পি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের পকৌশলী শ্রী রতন চন্দ্র।
এছাড়া কালীমাতা মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কাঁলাচান পাল সহ সকল সদস্য এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শতশত শরণার্থীর উপস্থিত ছিলেন।