জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ফাতেমা আক্তার সোনিয়া (২৫) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেঁচিয়া বাঁধা গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, ফাতেমা ওই এলাকার ভাই ভাই হোটেলের মালিক সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে এবং রামচন্দ্রখালি গ্রামের অন্তর মিয়ার স্ত্রী। চার বছর আগে ফাতেমার সাথে পোগলদিঘা ইউনিয়নের রামচন্দ্রখালি গ্রামের সরোয়ার খাঁর ছেলে অন্তর মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মাঝে দাম্পত্য কলহ শুরু হলে বেশিরভাগ সময় মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করতো। পরে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেঁচিয়ে বাঁধা গ্রামে বসতভিটার টিনের ঘরে কাঠের ধর্নার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সংবাদ শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকে বলেন, সোনিয়ার বাবার সাথে তার শ্বশুরবাড়ি রামচন্দ্রখালি এলাকার এক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। পরে ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে মহিলা বাদী হয়ে নারী ও শিশু দমন আইনে কোর্টে মামলা করে। এ অপবাদ সইতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করে।
গৃহবধূর স্বামী অন্তর মিয়া বলেন, চার বছর আগে সোনিয়ার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোনিয়া তার বাবার বাড়িতেই বেশি থাকতো। কিন্তু কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে জানে না।
এ-বিষয়ে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ মো: সরোয়ার বলেন, শনিবার সকালে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মামলার পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।