এদিকে নতুন বাস ভাড়া নিয়ে বিপাকে যাত্রী ও বাস মালিক দুইপক্ষই। একলাফে অনেকটাভাড়া বাড়ায় কমে গেছে যাত্রী। ফলেফাঁকা রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলো।
যাত্রীরা বলছেন, অতি প্রয়োজন ছাড়া তারাআর দূরের যাত্রায় যাচ্ছেন না। যাত্রীকম হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে ভাড়া কমিয়ে দিচ্ছেন বাস মালিকরা।
অনেকটাই ফাকা মহাখালি বাস টার্মিনাল। স্ট্যান্ডে আছে পর্যাপ্ত বাস। কিন্তু যাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ায় ট্রিপকমাতে বাধ্য হচ্ছে বাসগুলো। একইচিত্র ছিলো গাবতলি বাস টার্মিনালেও।
কাউন্টার কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীরা এখন নতুন ভাড়াতে আর টিকেট কিনতে চাইছেন না। তারা বিকল্প উপায়ে যাবার চেষ্টা করছেন। ফলে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে।
অথচ ব্যবসা সচল রাখতে বাস চালু রাখতেও বাধ্য হচ্ছেবাস মালিকরা। যাত্রী কমে যাবার কারণে সরকার নির্ধারিত নতুন ভাড়ার চাইতে ভাড়া কমরাখতে শুরু করেছেন তারা।
সোমবার গাবতলীতে গিয়ে দেখা হয় এক যাত্রীর সঙ্গে, তারগন্তব্য সাতক্ষীরা। নির্ধারতি নতুন ভাড়া ৭৯৮ টাকা। দরদাম শেষে ৭০০ টাকাতেই তিনি পেয়ে যান বাসের টিকেট।
এমন চিত্র প্রায় সব রুটেই দেখা গেছে। কয়েকটি পরিবহনেরবাস ঘুরেও দেখা গেলো যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। কাউন্টার থেকে জানালে, ভাড়া বাড়ার পরউভয় সংকটে পড়েছে তারা।
অন্যদিকে যাত্রীরা বলছেন, বাড়তি ভাড়া তাদের অনেকটাই চাপেফেলে দিয়েছে। বিশেষকরে স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে এই ভাড়াকে ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ বলছেন যাত্রীরা।
যাত্রী কম হলেও কেউ যাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারেসেটি নজরদারি চালাতে টার্মিনালগুলোতে ছিলো বিআরটিএ-এর ভ্রাম্যমানআদালতের অভিযান।
সব মিলে নতুন ভাড়া কার্যকরের পর থেকে যাত্রী ও মালিক দুইপক্ষই বিপাকে পড়েছেন। এভাবেচলতে থাকলে হুমকিতে পড়বে পরিবহন সেক্টর, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।