টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের জশিহাটি উত্তর পাড়া সরকার বাড়ী এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে আগুন লাগা ও সিদেল চুরির ঘটনা। আগুন আতঙ্ক ও চুরি ঠেকাতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ২০ টি পরিবার। দুর্বৃত্তদের ধরতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে নারী-পুরুষরা। এ ব্যাপারে বাসাইল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানাগেছে, উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের জশিহাটি উত্তর পাড়া সরকার বাড়ী এলাকায় ২০/২৫ টি পরিবার বসবাস করে আসছে। ওই এলাকার অধিকাংশ পুরুষই প্রবাসী। গত তিন মাস যাবৎ ২/৪ দিন পর পর কখনো সন্ধ্যায় আবার কখনো ফজরের আজানের পর কারো না কারো বাড়ীতে খড়ের পালায়, ট্রাকটর, বৈদ্যুতিক মিটারে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। আগুন দেখে বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়।
জশিহাটি উত্তর পাড়া সরকার বাড়ির ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার বলেন, আমাদের বাড়িতে তিনটি বৈদ্যুতিক মিটার, একটি খড়ের পালা ও একটি ট্রাকটরে পরপর দুই বার আগুন ধরিয়ে দেয়, দুই বার সিঁদ কেটে চুরি ও মুরগির ফার্মে বিষ দিয়ে ১৩ টি মুরগি মেরে ফেলে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুত অফিসে জানালে অফিসের লোকজন এসে দেখে নতুন মিটার লাগিয়ে দিয়ে যায়।থানায় জিডি করার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
আল-আমিন সাদ্দাম বলেন, আমাদের এলাকায় অধিকাংশ পুরুষই প্রবাসী। গত তিন মাস যাবৎ কোননা কোন বাড়িতে আগুন আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমরা তাদের পাহারা দিলে ওরাও আমাদরে পাহারা দেয়। আমরা ঘুমাতে গেলেই ওরা আগুন ধরিয়ে দেয়।
লতা আক্তার বলেন, আমাদের বাড়ীতে খড়ের পালায় ১০ বার আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমাদের তিনটি গরু। আগুনে যাতে গরুর ক্ষতি না হয় সে জন্য বিক্রি করে দিয়েছি।
ফুলকি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বিজু জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জানতে পারি ওই এলাকায় খড়ের পালা বৈদ্যুতিক মিটারে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। থানায় জিডি করতে বলেছি। রাত জেগে পাহাড়া দিয়ে হাতে নাতে ধরিয়ে দিতে বলেছি। তিনি আরোও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।
বাসাইল থানার এসআই আজহারুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। রাত জেগে পাহাড়া দিয়ে হাতে নাতে ধরতে বলা হয়েছে।