যমুনা ফিউচার পার্কের একটি দোকান থেকে চুরি হওয়া ২৭টি আইফোনসহ মোট ৪৫টি মোবাইল ফোন রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি মুদি দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
তিনি জানান, যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে সকালে চুরি করে মোবাইল ফোনগুলো দুপুরে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে বিক্রি করা হতো। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—অনিক হাসান, নাহিদ হোসেন ও নাদিম মোহাম্মদ সাগর। গতকাল বিকেলে বসুন্ধরা, ভাটারা ও কুমিল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গত ৫ জুলাই যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-৪ এর একটি মোবাইল শোরুম থেকে বিভিন্ন মডেলের ৩৭টি আইফোন, ১৪টি স্যামসাং ও ৪টি সনি ব্র্যান্ডের মোবাইলসহ মোট ৫৫টি মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন দোকান মালিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশের পাশাপাশি এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত করে ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এ চক্রটিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।’
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তারকৃত নাহিদ হোসেন ৮ মাস আগে চুরি হওয়া ওই মোবাইল দোকানে কর্মরত ছিলেন। সে সময় নাহিদ ওই দোকানের চাবির একটি কপি তৈরি করে নিজের কাছে রাখেন। পরবর্তী সময়ে তিনি তার পূর্ব-পরিচিত অনিক হাসানকে দিয়ে ওই দোকানে চুরি করান। আর এ চুরি করা মোবাইল প্রতিদিন দুয়েকটা করে অপর সহযোগী নাদিমের মাধ্যমে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে মোবাইল কিনতে আসা ক্রেতাদের কাছে কমদামে বিক্রি করে আসছিলেন।
তারা আরও জানান, আগে এক সময় স্টেডিয়াম মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, আন্ডারপাস মার্কেট ও সিনেমা হলের আশপাশ এলাকায় চোরাই ঘড়ি ও মোবাইল বিক্রি হতো। কিন্তু এখন যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরার মতো মার্কেটেও চোরাই পথে মোবাইল এনে কেনাবেচা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে ডিবি কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তার নাহিদ হোসেনের মায়ের মুদি দোকান থেকে বিভিন্ন মডেলের ২৭টি আইফোন, ১৩টি স্যামসাং ও ৫টি সনি ব্র্যান্ডের মোবাইলসহ মোট ৪৫টি মোবাইল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। মুদি দোকানটি খিলক্ষেত থানার কুড়াতলীতে অবস্থিত।