মানুষের বিনোদনের একটি বড় মাধ্যম সিনেমা। এক সময় মানুষ দল বেঁধে সিনেমা দেখতে যেতো। কিন্তু পুরোনো সেই দিন এখন আর নেই। নানা কারণে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেমা হল। তেমনি দুটি সিনেমা হল জামালপুর সরিষাবাড়ীর ‘আলতা সিনেমা হল ও চম্পাকলি’ সিনেমা হল। মানুষের মুখে মুখে সিনেমা হল দুটির নাম থাকলেও প্রযুক্তির ছোঁয়াতে কালেরক্রমে বন্ধ হয়ে গেছে সেই হল গুলো।
সিনেমা হলের সাবেক ম্যানেজার ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌরসভার স্ট্রেশন এলাকার পাশে ১৯৮৫ইং সালের ১৩ জুলাই থেকে শুরু হয় ‘আলতা সিনেমা হল’। অপর দিকে শিমলা গনময়দান মাঠের পাশে অবস্থিত ‘চম্পাকলি’ সিনেমা হল শুরু হয় ১৯৬৭ সাল থেকে। আলতা সিনেমা হলে সিটের আসন ছিলো-১হাজার ৪শত এবং চম্পাকলি সিনেমা হলের আসন ছিলো ৪শত ৫০টি।
চম্পাকলি সিনেমা হল আনুমানিক দশ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় এবং আলতা সিনেমা হল করোনাকালীন সময় ২০১৯ সালে বন্ধ হয়ে পড়ে। এক সময় দুটি সিনেমা হলই ঝাঁকঝমক পুন্য ছিলো। রুপালি পর্দায় রুপালি গল্পগুলো এখন আর রঙ ছড়ায়না। যুগের সাথে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় বন্ধ হয়েছে গেছে সিনেমা হল দুটি। সিনেমা হলের সেই সব জায়গা-জমি বিক্রি করে দিয়েছেন হল কতৃপর্ক্ষ। সেখানে গড়ে উঠছে বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সিনেমা হলের ভিতরে থাকা দোকানদার শিবু সাহা বলেন, হলের মালিক যে ছবি চালাতো সেটাই লোকসান হতো। হলে লোক আসতো না। মালিক পক্ষ বাধ্য হয়েই সিনেমা হল বন্ধ করে দিয়েছে।
আলতা সিনেমা হলের সাবেক ম্যানেজার হায়দার আলীসহ অনেকেই বলেন, নব্বই দশকের দিকে দীর্ঘ ৬ বছর সিনেমা হলের দায়িত্বে ভালো ব্যক্তিরাই ছিলেন। তখন সিনেমা হল ভালো চলতেন। অনেক দর্শকের সমাগম হতো।
পর্যাক্রমে সিনেমা হলের মালিক পরিবর্তনের ফলে সিনেমা হল গুলো মরিচা পড়া শুরু করেন। নেই ভালো সিনেমা, নেই ভালো গল্প। বর্তমানে সিনেমা হলে মানুষ আর আসতে চায় না। বিনোদনের জন্য মানুষ এখন স্মাট ফোন ব্যবহার করেন। সেখানে সবই কিছুই পাওয়া যায়, সিনেমা হলে গিয়ে আর কি হবে।
এ-বিষয়ে আলতা হলের বর্তমান মালিক আনিছুর রহমান এলিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও (ফোন রিসিভ) করেনি। পরবর্তীতে জানা যায় তিনি ব্যবসায়ী কাজে শহরে আছেন।