গরুর হাটে গরুর রওনায় নামে মিল না থাকায় ব্যাপারীর টাকা ছিনিয়ে নিয়ে কমিটির চাপে ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সুলতান এর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, জামালপুর জেলার ঐতিয্যবাহী গরুর হাট সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা গোপালগঞ্জ হাট। দেশের বিভিন্ন স্থানের গরু ব্যাসায়ীরা প্রতি শুক্রবার এ গরুর হাটে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আসেন, লেন দেন হয় প্রায় ২ কোটি টাকা।
প্রতি শুক্রবারের ন্যায় আজ শুক্রবারো চলছিল এ গরুর হাট। আনুমানিক সাড়ে বারোটার সময় ধনবাড়ী ব্যাবসায়ী আক্তার হোসেন নায়েব আলী নামের এক ব্যাপারির নিকট ১৮৫ হাজার টাকা মূল্যের গাভী বিক্রি করেন এবং ১৪৫ হাজার টাকা জমা নিয়ে রওনা কাটার জন্য তার অন্য সহযোগী খলিল মিয়া পিতা সুরুজ কে পাঠায় এবং সে বিক্রেতা হিসাবে নাম লেখান, এবং ক্রেতার প্রতিনিধি মজিবর রহমান পিতা মগর মিয়ার নামে ২০৬ নং রওনা করেন।
পরে বাকী টাকা ও গাভি লেন-দেন মুহুর্তে অভিযোক্ত এস আই সুলতান পুলিশের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় সেখানে গিয়ে রওনা দেখে ব্যাবসায়ীদের ধমকাতে থাকেন এবং ব্যাবসায়ীর হাতে থাকা ১৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে হাট কমিটির সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করলে ব্যাবসায়ীকে কলার ধরে হাটের বাইরে নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাবসায়ীরা হাট থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে হাট কমিটির সদস্যের দায়ীত্বে থাকা রেজাউর করিম সজনু, আসাদুল আলম জুবেল ও জুয়েলসহ অন্যান্যরা মিলে ব্যাবসায়ীর টাকা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এ বিষয়ে আসাদুল আলম জুবেল এস আই সুলতানের সাথে বাকবিতড়ম্বে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, হাটে ব্যাবসায়ীদের কোন প্রকার সমস্যা হলে হাট কমিটির সদস্যরা সমাধান করবো যদি কোন কারনে আইনের আশ্রয় নেয়া প্রয়োজন হয় তাহলে পুলিশকে ডাকবো। কিন্তু আমাদের না জানিয়েই এমন কাজ করবেন এটাতো ঠিক বলে আমি মনে করিনা। পুলিশকে আমরা হাটের ব্যাবসায়ীসহ সর্ব প্রকার নিরাপত্তার স্বার্থে আনা হয়। আজকে হাটে তাকে ডিউটিও দেয়া হয়নি অথচ সে হাটে ঢুকে ব্যাবসায়ীর টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাবসায়ীকে অপমান অপদস্থ করবেন আর আমাদের হাট নষ্ট হবে এটাতো আশা করিনি।
এ বিষয়ে ধনবাড়ীর আরেক ব্যাবসায়ী সুহেল রানা জানান, এই পুলিশ গত কোরবানীর ঈদের আগের হাটে ১২ টার দিকে আমি একটা গরু বিক্রি করি এবং ৪৫ হাজার টাকা বায়না নেই। দুইটার সময় সে এসে বলে আমি গরু নিবোনা আমি বলি করোনার হাট তিনটা পর্যন্ত চলবে এখন আমি গরুটি কোথায় বিক্রি করমু, এমন সময় এস আই সুলতান ভাই এসে বলেন তুই টাকা নিছিস টাকা ফিরিয়ে দে । আমি তৎক্ষনাত ভয়ে টাকা ফিরিয়ে দেই। পরে কোন কিছু না বলেই আমাকে হেনকাপ পরায় এবং বাজারের ভিতর আমার সকল গরু রেখে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে কাস্টরিতে আটকে রাখে পরে আমার গরুর কথা চিন্তা করে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে আসি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এস আই সুলতানের নিকট জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার ডিউটি নাই তাতে কি হয়ছে কেন টাকা নিছি এটা কি আপনাকে জবদিতে হবে আপনি কে, এই বালের চাকরি প্রয়োজনে আমি করবোনা।
এ বিষয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না আর আমাকে কেউ জানায়নি।