কুড়িগ্রামজাতীয়

কুড়িগ্রামে বানভাসিদের দুর্ভোগ চরমে

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমর নদীসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এ অবস্থায় কমেনি বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ।

শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়।

জানা গেছে, চর ও দ্বীপচরের নদ-নদীর নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলো এখনও পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন। এখনও প্রায় দুই লাখ মানুষের কষ্টের সীমা নেই। অনেকের ঘরবাড়ি থেকে পানি সরতে থাকলেও অনেকের বাড়িতে এখনও পানি থাকায় সংকট কমেনি। এছাড়াও তিস্তা নদীসহ সবকটির পানি কমায় আবার দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। তিস্তার অববাহিকায় প্রায় ১২টি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে। গ্রামীণ ও চরের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের হকের চর এলাকার রফিকুল মিস্ত্রী জানান, গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন শুরু হয়। দুদিনে আমার দুই ছেলের বাড়িসহ নয় জনের বাড়িভিটা ভেঙে গেছে। এখন ভিটে মাটি হারিয়ে আমরা সবাই খোলা আকাশের নিচে থাকছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার (২৪ জুন) থেকে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার অনেকটা নিচে নেমে এসেছে। ফলে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ জানান, বন্যায় জেলায় প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭ হাজার কৃষক। পুরো পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, চলতি বন্যায় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩৮ টন চাল, ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনেক দুর্গম চরে এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছেনি স্বীকার করে বলেন, খবর পেলে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker