জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গৃহবধূ ছাবিনা বেগম ও তার শিশু সন্তানকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল মালেককে বুধবার (২২ জুন) বিকেলে আটক করেছে পুলিশ।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মৃত তৈয়ম আলীর ছেলে আব্দুল মালেকের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
গত মঙ্গলবার দুপুরে মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম ঘরে বসে ৪০ দিনের শিশু সন্তানকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী আব্দুল মালেক ও তার পরিবারের লোকজন মঞ্জুরুল ইসলামের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করতে থাকে।
এতে ছাবিনা বাধা দিলে তার কোলের শিশু সন্তানকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
নিজ সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে রক্ষার চেষ্টা করলে তারা ছাবিনাকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গৃহবধূ ছাবিনা ও তার শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ছাবিনা বেগমের স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে আব্দুল মালেককে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আব্দুল মালেককে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, গৃহবধূ ছাবিনা ও তার শিশু সন্তানকে মারধরের ঘটনায় প্রধান আসামি আব্দুল মালেককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হবে।