বর্তমান আইনি কাঠামো দিয়ে কারো পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আওয়াল। তার মতে, সব দল অংশ না নিলে নির্বচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
রোববার (১২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সহসাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করা হবে। দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, ঐকমত্য না থাকলে কমিশনের পক্ষে নির্বাচন করা কষ্টকর হবে।
সিইসি বলেন, সামনে ছোটখাটো কয়েকটি নির্বাচন আছে, ঈদ আছে। তারপরই আমরা সংলাপ শুরু করবো। যখন মতবিনিমিয় করবো আমরা সাজেশন চাইবো। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো আরও পদ্ধতিগত কী পরিবর্তন করা যেতে পারে, সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তা চাইবো। ব্যক্তি নয়, সিস্টেম যদি উন্নত করতে পারি, নির্বাচন অনেক বেশি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।
ইসির সাবেক কর্মকর্তারা বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটারের গোপনীয়তা সাংঘাতিকভাবে লঙ্ঘিত হয়। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলে প্রশ্ন থেকে যাবে। ভোট কক্ষ থেকে ডাকাত সরাতে পারলে ইভিএম এ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব বলে মত কারো কারো।
সভায় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনে কোনো কাজে আসে না।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ এবং সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার জরুরি। একইসঙ্গে ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়াও দরকার।
আরও পড়ুন: ১৫ জুন থেকে তিন সপ্তাহ সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
কুমিল্লার নির্বাচন প্রচারে সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে সিইসি জানান, কমিশন তাদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু তারা মানেননি।
সিইসির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বেগম জেসমিন টুলী, সাবেক সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক সিইসি শামসুল হুদা, সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আবু হাফিজ প্রমুখ।