চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত মাসুদ রানার (৩৫) মৃতদেহ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বয়সিং গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত মাসুদ রানা ওই গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমানের ছেলে। শনিবার (৪ জুন) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সংঘটিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হন মাসুদ। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ নিজ গ্রাম বয়সিংয়ে এসে পৌঁছায়। পরে সকাল ৮টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা যায়, কৃষকদম্পতি খলিলুর রহমান ও জমেলা বেগমের তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় ছিলেন মাসুদ মিয়া। পড়াশোনায় মাধ্যমিক পেরোতে পারেননি, ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পাড়ি জমান সৌদি আরবে। ৫ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে আসেন। এরপর ২০১৫ সালের দিকে নতুন কর্মসংস্থানের জন্য ছুটে যান বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। এরপর সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোর একটি কোম্পানিতে গাড়িচালকের চাকরি নেন। সেখানে তিনি একসপ্তাহ দিনে এবং পরের সপ্তাহ রাতে ডিউটি করতেন। শনিবার রাতে সংঘটিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন তিনি।
নিহত মাসুদ মিয়া ১০ বছর আগে বিয়ে করেন। তার ২ বছর বয়সী একটা ছেলে এবং ৭ বছর বয়সী একটা কন্যাসন্তান রয়েছে। স্ত্রী সুমি আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে তিনি সীতাকুণ্ডে ভাড়াবাসায় থাকতেন। দুই অবুঝ শিশুর লালনপালনসহ সামনের দিনগুলো কীভাবে কাটাবেন; সে চিন্তায় দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন মাসুমের স্ত্রী।
এ-বিষয়ে নিহতের চাচা মোজাম্মেল হক বলেন, বিস্ফোরণের নিহত মাসুদের মৃতদেহ আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়িতে আনা হয়েছে। সকালে ৮টার দিকে তার জানাযা করে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।