বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ ( পুরুষ ) ৪ র্থ ধাপ’ – এর সমাপনী কুচকাওয়াজ আজ ৫ জুন, ২০২২ তারিখ রবিবার বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান বিজিবিএম, পিবিজিএম (বার), এনডিসি। আরও উপস্থিত ছিলেন, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: সামছুল আলম, উপ – মহাপরিচালক ( প্রশাসন ) কর্নেল মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, পিএসসি, উপ মহাপরিচালক (অপারেশনস) এ কে এম জিয়াউল আলম ও বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ০৮ টা ৫০ মিনিটে বিএইচএম এর প্রবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কুচকাওয়াজ। একে একে মাঠে প্রবেশ করে প্যারেড কন্টিনজেন্ট, প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট, কোম্পানি কমান্ডার, প্যারেড কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ও পতাকাবাহী কন্টিনজেন্ট। একাডেমির কমান্ড্যান্ট ও বিশেষ অতিথির পর অশ্বারোহী দলের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মাঠের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে আগমন করেন প্রধান অতিথি। লাল গালিচায় মোড়ানো সুসজ্জিত খোলা সবুজ জীপে একাডেমির কমান্ড্যান্ট ও প্যারেড কমান্ডার উপ – পরিচালক মো: আমমার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রতিটি কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন। পরে প্যারেড ৬ ( ছয় ) সারিতে মার্চ পাস্ট করে প্রধান অতিথিকে অভিবাদন জানায়। নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের দিকে হাত তুলে দৃঢ় মনোবলে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি অটল থেকে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করার শপথ গ্রহণ করে প্রশিক্ষণার্থীরা।
তাদের মধ্যে হতে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। মোট ১ হাজার ৯১ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ড্রিল – এ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করেন মলয় বালা, ফায়ারিং – এ সেরা আকরাম হোসেন আর সব মিলিয়ে চৌকস প্রশিক্ষণার্থীর পুরস্কার লাভ করেন হ্যামিলিন চাকমা।
সাধারণ আনসাররা প্রশিক্ষণ শেষে অঙ্গীভূত হয়ে সরকারি – বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন: বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, জাতীয় সংসদ ভবন, মেট্রোরেল, পদ্মা বহুমুখী সেতু, হোটেল, মোটেল, ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে চার হাজারেরও অধিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫৪ হাজার সাধারণ আনসার অঙ্গীভূত হয়ে দেশের জন নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলছেন। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সকল স্তরের নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, ঈদ, দুর্গাপূজা, বিশ্ব ইজতেমা, বর্ষবরণ, শপিং মল, বাণিজ্য মেলা ও বই মেলা, রেল স্টেশন, ট্রাফিক কন্ট্রোল, কোভিড ১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাধারণ আনসার সদস্য – সদস্যারা জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।