সাতক্ষীরা

কোচিং না করায় শিক্ষকের ইশারায় শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত

সাতক্ষীরায় কোচিং না করায় শিক্ষকের নির্দেশে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেছে তারই দুই বন্ধু। পাইপ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মৃত ভেবে রেখে এসেছে হাসপাতালে।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীর বাবা। তবে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি অভিযুক্তদের। পুলিশ বলছে, আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

শুক্রবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০টায় ইন্সটিটিউটের পুরুষ হোস্টেলের ৩১৩ নং রুমে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। রাতে ওই শিক্ষার্থীকে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে নলতা ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোলায়মান।

তিনি জানান গত ১৩ মে রাতে ইন্সটিটিউটের হোস্টেলের একটি রুমে তাকে ডেকে নিয়ে যায় তার দুই বন্ধু নাহিদ হাসান ও রশিদ খান।

সোলায়মান বলেন, আমি নাহিদের রুমে গেলে সে প্রথমে আমাকে তালের রস খাওয়ায়। পরে রশিদ ও নাহিদ আমাকে মারপিট শুরু করে। রানাও তাদের সহযোগিতা করে।

তিনি বলেন, তারা জিআই পাইপ ও লোহার রড দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে আমার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

জ্ঞান ফেরার পর সোলায়মান দেখতে পান, রশিদ, নাহিদ ও রানা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে। পরে তারা সোলায়মানকে নলতা হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।

সোলায়মানের অভিযোগ, ইন্সটিটিউটের রেডিওলজি বিভাগের অতিথি শিক্ষক সাঈদী হাসানের কাছে কোচিং না করায় তার উপর নির্যাতন চালায় নাহিদ ও রশিদ।

ঘটনার পর অতিথি শিক্ষক চার জনকে আসামী করে মামলা করেছেন সোলায়মানের বাবা। আর পুলিশ জানিয়েছে,আসামি ধরার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

প্রতিষ্ঠানের ইন্সটিটিউটের অন্য শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করেছেন, সাঈদী তাদের ওপরও নানা অত্যাচার চালায়। তার কাছে কোচিং না করলেই নির্যাতন চালানো হয়।

এ ব্যাপারে আইএইচটি’র রেডিওলজি বিভাগের শিক্ষক সাইদী হাসানের সঙ্গে কথা বলার জন্যে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker