জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে গরম তৈল ছুরে নির্যাতন করেছন বলে অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামীর বিরোদ্ধে।
গত রবিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় পৌরসভার বাউসী চন্দনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গৃহবধূ মোর্শেদা বেগম সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে পৌরসভার বাউসী চন্দনপুর এলাকার বিল্লাল মন্ডলের ছেলে ফিরোজ মন্ডল (২৮) এর সাথে একই উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বারইপটল এলাকার আঃ খালেকের মেয়ে মোর্শেদা বেগম (২৬) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ফিরোজ মিয়া টাকা পয়সার জন্য স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের উপড় নির্যাতন করতেন। ইতিমধ্যে অনেক সময় বাপের বাড়ি থেকে নগদ টাকা এবং ভরণপোষণ জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস এনে দিতে স্বামীকে। তবুও স্বামী এবং শশুর-শাশুড়ির মন ভরতো না।
এভাবেই তিনি নানা নির্যাতন সজ্জ্য করে ২টি সন্তানকে নিয়ে সংসার করেন। তারই সুত্রপাতে গত রবিবার রাতে যৌতুকের জন্য তার স্বামী এবং শাশুড়ি ফজিলা বেগম রান্না করা অবস্থায় গরম তেল ছিটকে মারেন। পরে মোর্শেদা বেগম গুরুত্বর আহত অবস্থায় সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গৃহবধূর ভাই ওমর আলী বলেন, বোনটিকে বিয়ে দেওয়ার কয়েক মাস পরে থেকেই নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে ফিরোজ। অনেক ভার তার এলাকার মাতাব্বরদের নিয়ে শালিস বৈঠক করা হয়েছে। তবু ফিরোজ ঠিক হয়নি। টাকা পয়সার জন্য আমার বোনকে একদিন মেরেই ফেলবে। তার বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজ মন্ডল বলেন, আমার বিরোদ্ধে যেসব অভিযোগ দিয়ে সেগুলো সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট। তাকে যৌতুকের জন্য কখনই নির্যাতন করিনি।
এ বিষয়ে পৌর কাউন্সিল মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। ইতিপূর্বে আমরা তাদের এইসব ঝামেলা নিয়ে শালিস-বৈঠক করেছি। ফিরোজ এবং তার পরিবারের মধ্যে কোন পরির্বতন নেই।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, এঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ আসেনি, তবে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।