জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার পৌর বাউসী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সরিষাবাড়ী ও জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ একজন হামলাকারীকে আটক করেছেন।
আহতদের সুত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌর বাউসি বাজার এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিলের ২০ শতাংশ বসতভিটার জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমানের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
প্রতিপক্ষ মজিবুর রহমান দাবি করে আসছেন ওই ভিটার ২০ শতক জমি তার। আব্দুল জলিল জবরদখল করে ভোগকরছে। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলমান। আদালতে মামলা করে ইতোমধ্যে আব্দুল জলিল তার পক্ষে রায় দিয়েছেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে সোমবার সকাল থেকে মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তার দলবল নিয়ে হামলার প্রস্তুতি নেয় জমি দখল নিতে। এদিকে আব্দুল জলিল তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসতভিটা রক্ষায় দরবদ্ধ হলে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমানের লোকজন দেশীয় অস্ত্র রামদা, লোহার রড়, নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে রামদা দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে আব্দুল জলিলসহ পরিবারের সবাই গুরুতর আহত করে।
আহতরা হলেন, আব্দুল জলিল(৬৪) আব্দুল জলিলের স্ত্রী লাইলী বেগম(৫০),বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক(৩০) মেজো ছেলে ওয়াজ করোনী (২৫), ছোট ছেলে হামদাদুল হক(১৬)। তাদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জমিস মিয়াকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল জলিল জানান, মুজিবুর রহমান প্রভাবশালী ব্যাক্তি আমার বসতভিটার ২০ শতাংশ ভোগদখলি জমি জোর করে বেদখল করতে চায়। বাঁধা দেয়ায় মুজিবুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনীরা পরিবারের সবাইকে রামদা দিয়ে কুপিয়েছে।
প্রতিপক্ষ মজিবুর রহমান জানান, বাড়ির জমি জোর করে দখল নিয়েছে আব্দুল জলিল। ওই ২০ শতক জমির তার বলে দাবি করে বলেন, জলিলের লোকজন হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা অভিযোগ পেয়েছি। হামলাকারী নিয়ামত আলী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।