নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা বড় পরিসরে ঐক্য করব। আমাদের ঐক্যের যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে যতদ্রুত হওয়া দরকার, তা হচ্ছে না। তবে আমরা এগোচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার সেগুন রেস্টুরেন্টে এক ইফতার মাহফিলপূর্ব আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাজনীতিবিদদের সম্মানে বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, আমরা সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। তার আগে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। সে লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টিতে আমরা কাজ করছি, ঈদের পর থেকে আন্দোলন শুরু হবে।
মান্না বলেন, বিএনপিসহ বড় দলগুলো নির্বাচন না করলে এই সরকার নির্বাচন করতে পারবে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য এই সরকারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবেও চাপ আছে। আমরা তা করতে সরকারকে বাধ্য করব। ইতোমধ্যে আমরা সবাই একমত হয়েছি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকার চলে গেলে কারা আসবে সেখানেও ঐকমত্য হয়েছে। আমরা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাই- সেই সরকার যাতে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারে। সেই সরকার নির্বাচনে সবার জন্য সমান লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে।
মহানগর দক্ষিণ বিপিপির সভাপতি আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা মো. ওবায়দুল হক, বিপিপির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, মহাসচিব আব্দুল কাদের, কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, রফিকুল ইসলাম খান রনো, দক্ষিণের কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।