জাতীয়

বড় বাঁচা বাঁচলেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের। এরপরও বুধবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত তারা দোকান খুলতে পারেননি।

এদিন সংঘর্ষ না হলেও বিকেলের দিকে হঠাৎ করে উত্তেজনা দেখা দেয়। নিউমার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে- এমন খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা কলেজের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা নিউমার্কেট খোলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় মার্কেটের সামনে দোকান কর্মচারীরা এবং ঢাকা কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন- সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত নিউমার্কেটের কোনো দোকান খোলা যাবে না। এতে চরম বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরা।

এরপর বুধবার রাতে ঢাকা কলেজের শহীদ আ ন ম নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে ১০ দফা দাবি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এরপর শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

এর আগে, তিনি নিউমার্কেট দোকানমালিক সমিতি ও বাংলাদেশ দোকানমালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে আমরা আশা করছি তদন্তের মাধ্যমে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। বৈঠকে আমরা সবাই একমত হয়েছি, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। অনেকেই এটার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। যারা সুযোগসন্ধানী তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের দাবি-দাওয়ার অনেকাংশই পূরণ হয়েছে। ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আগামীতে উভয়পক্ষই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে বলে আমরা সব পক্ষ থেকেই আশ্বাস পেয়েছি।

মূলত শিক্ষার্থীরা রাজপথ থেকে উঠে যাওয়ায় নিউমার্কেটের ১০ হাজার ব্যবসায়ীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কারণ, শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকলে ভয়ে সাধারণ ক্রেতারা কেনাকাটা করতে আসবে না।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দোকান কর্মচারী মো. মুরসালিন (২৪)। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নাহিদ (১৮) নামে এক কুরিয়ার সার্ভিস কর্মীর ঢামেক হাসপাতালে মারা যান।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker