নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছে দোকান মালিক সমিতি। ভবিষ্যতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো সংঘর্ষ না ঘটে সেজন্য ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনকে নিয়ে কমিটি গঠনের কথাও জানিয়েছে দোকান মালিকদের এ সংগঠন। একই সঙ্গে নিউমার্কেটে অ্যাম্বুলেন্সে হামলায় তৃতীয় পক্ষ জড়িত বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নিউ-মার্কেট সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের চিহ্নিত করব। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি মীমাংসা আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দুই পক্ষের আলোচনার মধ্যে খুব শিগগিরই দোকান খোলা হবে।
এদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতা হেলাল উদ্দিন দাবি করেছেন, মঙ্গলবার নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্সে হামলার যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে নিউমার্কেটের কেউ জড়িত ছিল না। সেখানে তৃতীয় পক্ষ হামলা চালিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে।
গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুই দোকানের কর্মীদের বিরোধের জেরে দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুপক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এরপর মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধের পর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড়-সায়েন্সল্যাব এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরও ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেটসহ আশপাশ এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা যায়।
দুদিনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১১ জন সাংবাদিক, ঢাকা কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এবং ২৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ (১৮) নামের এক কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।